বাংলাদেশ থেকে দশ ট্রাক অস্ত্র বের হয়ে গেছে- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নাজমুল আহাসান কলিম উল্লাহ’র এ মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসব অস্ত্রের হিসাব চেয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নাজমুল আহাসান কলিম উল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে দশ ট্রাক অস্ত্র বের হয়ে গেছে। এই কথার তাৎপর্য কী? বিএনপি আমলের ১০ ট্রাক অস্ত্রের কথা বলে অনেকেরই ফাঁসি দিয়েছেন। মামলা হয়েছে। কিন্তু আজ এই দশ ট্রাক অস্ত্রের জন্য মামলা হয় না কেন? আর এটা যদি অপপ্রচার হয় তাহলে নাজমুল হাসান কলিম উল্লাহকে সরকার ধরছে না কেন? একটা প্রতিবাদ করেনি। এটা একটা রহস্য। কী করে দশ ট্রাক অস্ত্র বাহিরে চলে গেল? এর উত্তর প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে। না-হলে বোঝা যাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে যত মামলা সব বানোয়াট এবং হয়রানি করার জন্য। বিরোধী দলবিহীন একটি দেশ করার জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছেন সেটাই বাস্তবায়ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বিএফইউজে এবং ডিইউজের যৌথ আয়োজনে রমজানের আগে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে যে পরিমাণ ভিক্ষুক বেড়েছে তা আগে কখনো দেখিনি। কোনও সিগনালে দাঁড়ালে ভিক্ষুক এসে হাই-হুতাশ করে। এ থেকেই বোঝা যায় দেশ দুর্ভিক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ৭০ দশকের প্রথমার্ধে যে দুর্ভিক্ষের অবস্থা ছিল, দেশ সেই অবস্থার দিকে যাচ্ছে। আমি বিএনপি’র লোক বলে বলছি তা নয়, দেশের অনেক গণ্যমান্য বিশেষজ্ঞরা বলেছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় আসার জন্য অন্ধকার খুঁজেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন মন্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, অন্ধকার তো খুঁজেন আপনারা। আপনারা অন্ধকারকে পূজা করেন। দিনের আলোর ভোট নিশিরাতে করেছেন। তারপরও আপনার বলতে একটু দ্বিধা হয় না অন্ধকার খুঁজে বিএনপি। জনগণকে ক্ষুধার্ত রেখে আপনার চোখ অন্ধ করে রেখেছেন। আর গোটা জাতির সঙ্গে তামাশা করছেন। এই তামাশা আর থাকবে না।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্য বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের জনগণ তেল, ডাল, চিনি, লবণ কিনতে পারছে না। আর আপনারা বলছেন বেশি দাম দিয়ে কেনা অভ্যাস করতে হবে। জনগণের প্রতি, নি¤œআয়ের মানুষের প্রতি সরাসরি ঠাট্টা মজা করছেন।
বিএফইউজের সভাপতি এম আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, কাদের গণি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, দিদারুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।