বিএনপি কি ভেঙে যাচ্ছে, যা জানালেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল

নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কারাগারে থাকলেও বের হয়েই আওয়ামী লীগে যোগ দেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর। পরে ইউটার্ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি।

এর পরই রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন ওঠে— বিএনপি ভাঙা শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকলেও ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর ছাড়া তেমন সিনিয়র নেতা কেউ দলছুট হননি।

তবে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরের বিএনপি ছাড়াকে অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। একই সঙ্গে তাকে মীর জাফর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।

যুগান্তরকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা আলাল।

বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে কেন গেলেন ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর?

জবাবে আলাল বলেন, শাহজাহান ওমরের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জার। পাশাপাশি আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। শাহজাহান ওমর একজন বীরউত্তম। জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিত সর্বোচ্চ খেতাব। তিনি সাবেক আইনমন্ত্রীও বটে। সেখানে মানুষ কতটা লোভে পড়লে বিকৃত হতে পারে ও নীতিভ্রষ্ট হতে স্বল্প সময়ের মধ্যে একটা চূড়ান্ত উদাহরণ সৃষ্টি করে গেছেন ব্যারিস্টার শাহজাহান।

যে উদাহরণ যুগে যুগে মানুষ মনে রাখবে। যুদ্ধে সিরাজউদ্দৌলা পরাজয় হয়েছে, কিন্তু মীর জাফর জয়ী হয়েছে। তার পরও তার নাম কেউ উচ্চারণ করে না। শুধু তাই নয়, মীর জাফরের নামে কোনো সন্তানের নাম রাখে না। নৌকা প্রতীক পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন শাহজাহান ওমর। কিন্তু মীর জাফরে পরিণত হয়েছেন। তার নাম কেউ নেবে না, নিলে ঘৃণার সঙ্গে নেবে।

তিনি বলেন, বিএনপির বড় গৌরব হচ্ছে— ২০০৭ থেকে ২০২৪ সাল দীর্ঘ ১৭ বছরে এত অত্যাচারের পরও এখনো কোনো বড় নেতা চলে যাননি। একমাত্র শাহজাহান ওমর ছাড়া।

তৈমূর আলম খন্দকারের বিষয়ে কী বলবেন?

প্রশ্নোত্তরে আলাল বলেন, তারা ভুল করেছে ও প্রতারিত হয়েছে। লোভে পড়ে যে জিনিসটি গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। যারা ডেকে নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তাদের ধন্যবাদ। কেননা, লোভী মানুষদের এভাবে শিক্ষা দেওয়া উচিত।

বিএনপি কী ভেঙে যাচ্ছে?

জবাবে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বিএনপি ভেঙে যাওয়ার প্রশ্নই উঠে না। বিএনপি যদি ভাঙত তা হলে ১৭ বছরেই কিছুটা ভাঙত। পৃথিবীতে বিএনপি ছাড়া আরেকটি দলের উদাহরণ দেখাতে কেউ পারবে না, যে দলের প্রধান বছরের পর বছর কারাগারে ও দ্বিতীয় প্রধান এক যুগের বেশি সময় প্রবাসে তার পরও দলটি শক্তি নিয়ে টিকে আছে। দলের ভেতরে কোনো ফাটল নেই; বরং দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ফলে এশিয়া মহাদেশে রাজনীতিতে ভিন্নভাবে বিএনপি জায়গা করে নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on linkedin
LinkedIn
Share on print
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ