হাদিসুরের লাশ দেশে আসছে কাল-পরশু

ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের লাশ আগামীকাল বা পরশু (১৩ অথবা ১৪ মার্চ) দেশে পৌঁছাবে।

শুক্রবার বিকালে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমানের লাশ ইউক্রেন থেকে মলদোভা পৌঁছেছে। আশা করছি, সকাল নাগাদ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে। সেখানে কিছু দাপ্তরিক কাজ শেষে ১৩-১৪ তারিখ বাংলাদেশে পৌঁছাবে।’

এদিকে ইউক্রেনের বাংকার থেকে শুক্রবার হাদিসুরের লাশ মলদোভায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রাতে তার লাশ রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে পৌঁছাবে। এর আগে বৃহস্পতিবারই লাশবাহী ফ্রিজারভ্যানটি রোমানিয়ার উদ্দেশে রওনা হতে পারত। তবে রোমানিয়া কর্তৃপক্ষ হাদিসুরের পরিবারের সম্মতিপত্র চেয়েছিল। বাংলাদেশ থেকে তার পরিবারের সম্মতিপত্র পাঠানো হয়। সব শেষ করে লাশবাহী ফ্রিজারভ্যানটি শুক্রবার রোমানিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়।

তুরস্ক থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে জলসীমায় নোঙর করে ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অলভিয়া বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। জাহাজটি ২৯ জন নাবিক ও ক্রু নিয়ে সেখানেই নোঙর করা অবস্থায় আটকা পড়ে। হাদিসুর জাহাজে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। গত ২ মার্চ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিট ও ইউক্রেন সময় ৫টা ২৫ মিনিটে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। এতে জাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। হামলায় জাহাজের ব্রিজ ধ্বংস হয়ে যায়। মারা যান হাদিসুর রহমান।

পরে জীবিত ২৮ নাবিককে ৩ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ইউক্রেনের একটি বাংকারে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের নিরাপদে রোমানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর ইউক্রেনের একটি বাংকারে ফ্রিজআপ করে রাখা হয় হাদিসুরের লাশ। পরে গত ৯ মার্চ দুপুরে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের ২৮ নাবিক দেশে ফেরেন। তবে সেদিন দেশে নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি হাদিসুরের লাশ।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ