শিশুরা সহজাত ভাবেই চঞ্চল। কোনো কাজ নিয়েই তারা বেশিক্ষণ স্থির থাকতে পারে না। দেখা যাচ্ছে,তারা কখনও ফোন নিয়ে ‘গেমস্’ খেলছে। কখনও আবার রিলস দেখছে। বেশিরভাগ শিশুরই এখন দিন কাটছে মোবাইলের জগতে। এ কারণে পড়াশোয় শিশুদের মনোযোগে ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। বার বার পড়লেও পড়া মনে রাখতে পারছে না। এ ব্যাপারে অভিভাবকদের শিশুদের বকাবকি না করে ধৈর্যশীল হতে হবে। পড়াশোনায় বা অন্য কাজে শিশুদের মনোযোগী করে তুলতে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। যেমন-
পর্যাপ্ত ঘুম যেন হয়
মস্তিষ্ক ঠিক রাখতে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। শিশু পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে কোনও কাজই ঠিক মতো হবে না। শিশুদের মনোযোগ বাড়াতে ঘুমের মান ভালো হওয়া প্রয়োজন। এ কারণে ছোটদের ক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ৯-১১ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমোনোর পরামর্শ দেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা।
প্রাণায়াম
‘মাইন্ডফুল ব্রিদিং’মনোযোগ বাড়াতে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে। যদিও শিশুদের এক জায়গায় বসিয়ে ধৈর্য ধরে এমন অভ্যাস করানো কঠিন। তারপরও অভিভাবকদের হাল ছাড়লে চলবে না। খুব বেশি না হলেও প্রতিদিন অন্ততপক্ষে মিনিট পাঁচেক এই অভ্যাস করতে হবে।
একসঙ্গে অনেক কাজ নয়
একসঙ্গে অনেক কাজ সামাল দেওয়ার ক্ষমতা শিশুদের মধ্যে থাকে না। কারণ, তাদের মস্তিষ্ক সেই ভাবে বিকশিত হয় না। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট একটি কাজ করার দিকে জোর দিতে হবে। না হলে তারা কোনও কাজেই মনোযোগ দিতে পারবে না।
অতিরিক্ত চাপ নয়
পড়াশোনার প্রতি বা বাবা মায়ের অতিরিক্ত চাপ এবং খেলাধুলার সুযোগের অভাবে শিশু পড়ায় অমনোযোগী হতে পারে। এ কারণে তাকে অতিরিক্ত চাপ দেয়া যাবে না। খেলাধূলার সময় দিন।
প্রশংসা করুন
শিশুকে গুরুত্ব দিন। তার সঙ্গে গুণগত সময় কাটান। সবকিছুর জন্য তার প্রশংসা করুন। তাহলে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে।