৮৬ সালের পর ২০২২। দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আবার বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট কাটলো কানাডা। আগের ম্যাচে কোস্টারিকার কাছে অপ্রত্যাশিত হারের পর কিছুটা টেনশনে পড়ে গিয়েছিলো মেপল লিফ জার্সিধারীরা।
নাহ। আর কোনো অঘটন নয়। প্রত্যাশিত জয় দিয়েই কাতার ফ্লাইট নিশ্চত করেছে কানাডা। মাত্রই টরন্টোতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে জ্যামাইকাকে ৪-০ গোলে হারায় জন হার্ডম্যানের শিষ্যরা। ১৩, ৪৪, ৮২ ও ৮৮ মিনিটে গোল চারটি করেন লারিন, বুকানন, হোলেট আর মারিয়াপ্পে করেন আত্মঘাতী।
ম্যাচ শেষে কানাডার বিভিন্ন শহর উৎসবের নগরিতে পরিণত হয়।
বাছাইপর্বের শুরু থেকেই কানাডা ছিল অদম্য। প্রথম আর দ্বিতীয় পর্বে মেপল লিফ জার্সিধারীরা ছিল অপ্রতিরোধ্য। পয়লা ম্যাচে বরমুডাকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে, পরের ম্যাচেই কেইম্যান আইল্যান্ডকে গুড়িয়ে দেয় ১১-০ গোলে। পরের দুই ম্যাচেও কানাডার জয়ে কাঁটা বিছাতে পারেনি অরুবা আর সুরিনাম। সহজ জিত তাদের বিপক্ষেও যথাক্রমে ৭-০ ও ৪-০ গোলে। পরের পর্বে পাত্তা পায়নি হাইতি। দুই লেগে কানাডা তাদের জালে বল জড়িয়েছে ৪ বার। হাইতি হেরেছে ১ ও ৩ গোলে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ের ৮ দলের চূড়ান্ত পর্বেও না হারা মনোভাব অব্যাহত ছিল। আমেরিকা ও মেক্সিকোর সাথে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করলেও, পরের লেগেই দুই জায়ান্হন্ডটকে হারায় ২-০ ও ২-১ গোল। হন্ডুরাসকে এক ম্যাচ হারালেও (২-০) ড্র হয় (১-১) অন্যটি। দুই লেগেই এল সালভাদরকে কানাডা ডুবিয়েছে ৩-০ আর ২-০ গোলে। অন্যদিকে জ্যামাইকার সাথে গোলশুন্য ড্র করলেও সহজ জয় পায় পানামার বিপক্ষে। কানাডা জিতে ৪-১ গোলে।