ফ্রেঞ্চ লিগে শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে বড় অঙ্কের অর্থ খরচ করে লিওনেল মেসি কে দলে ভিড়িয়েছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
যদিও লিওনেল মেসি এখনও তার বার্সা ক্যারিয়ারের ভেলকি দেখাতে পারেননি। তবে লিওঁর বিপক্ষে রোববারের ম্যাচে আশা জাগানিয়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন।
গোল না পেলেও ম্যাচ শুরুর ষষ্ঠ মিনিট থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর শানিত আক্রমণ চালিয়ে গেছেন।
আর এমন ছন্দে ফেরা মেসির খেলাটাই বন্ধ করে দেন কোচ মরিসিও পচেত্তিনো। ম্যাচের ৭৫তম মিনিটে মেসিকে উঠিয়ে নেন পচেত্তিনো।
পচেত্তিনোর এমন সিদ্ধান্তে মাঠেই অবাক হয়েছিলেন মেসি। হতাশ হতেও দেখা গেছে তাকে। উঠে যাওয়ার সময় কোচের সঙ্গে হাতটাও মেলাননি মেসি।
ওই ম্যাচে লিঁওকে ২-১ গোলে হারানোর পরও কথা শুনতে হচ্ছে পিএসজি কোচকে।
ফুটবলের মহাতারকাকে এভাবে তুলে নেওয়া মানতে পারছেন না ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই দলের জয়কেও ছাপিয়ে শিরোনামে উঠে এলো মেসিকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
এ নিয়ে তুমুল সমালোচনার মধ্যেই জবাব দিলেন পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো।
জানালেন, ম্যাচ শেষের ২০ মিনিট আগে মেসিকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিকই ছিল। একজন কোচ হিসেবে যা করার তিনি তাই করেছেন। দলের ভালোর জন্যই করেছেন। তার এই সিদ্ধান্তে মেসির ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, তা নিয়ে ভাবনার সময় নেই তার।
পচেত্তিনো বলেন, ‘সব কোচই দল আর খেলোয়াড়দের ভালো চান। হয়তো এসব সিদ্ধান্ত কাজে লাগে, কখনও লাগে না। ফুটবলাররাও এসব কখনও পছন্দ করে, কখনও করে না। তবে দিনশেষে, কোচেরা তো এ কারণেই ডাগআউটে দাঁড়ান!’
পিএসচি কোচ আরও বলেন, ‘আমাদের ৩৫ জনের স্কোয়াডে দারুণ সব খেলোয়াড় আছে। তবে মাঠে কেবল ১১ জনকেই একসঙ্গে খেলানো সম্ভব। এর বেশি নয়। দল ও খেলোয়াড়ের জন্য যেটি সবচেয়ে ভালো, সিদ্ধান্তগুলো সে কারণেই নেওয়া হয়।’
তথ্যসূত্র: মার্কা