কক্সবাজারের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে আহত বিজিবি সদস্য নায়েক আক্তার হোসেনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সোমবার বিকেল ৪টা ১২ মিনিটে বিজিবির একটি হেলিকপ্টারে করে তাঁকে ঢাকায় এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার সকালে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার রেজু-আমতলী সীমান্ত চৌকি (বিওপি) থেকে একটি টহল দল বের হয়। দলটি ৪০ নম্বর সীমান্ত পিলারের আনুমানিক ৫০০ গজ দূরত্বে সীমান্ত সড়কের পাশে প্রস্তাবিত নতুন একটি বিওপির জায়গায় রুটিন টহলে গিয়েছিল। এ সময় ওই স্থানে হঠাৎ মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবির নায়েক আক্তার হোসেন দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পান। সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে রামু সেনানিবাসের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসরুরুল হক জানিয়েছেন, মাইন বিস্ফোরণের স্থানটি সীমান্তের কাছাকাছি হলেও বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে পড়েছে। মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে ওই বিজিবি সদস্য আহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।