‘শ্রদ্ধা’র পর এবার মোশতাকের প্রতি ঘৃণা-ক্ষোভ প্রকাশ সেই অধ্যাপকের

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এবার তার প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের প্যানেল নীল দল থেকে নির্বাচিত সভাপতি।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর আগে গতকাল রবিবার (১৭ এপ্রিল) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মোশতাকের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন তিনি। শ্রদ্ধা প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এছাড়া এ ঘটনার বিরোধিতা করে আজ বিক্ষোভ মিছিল করবে ছাত্রলীগ।

অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, অনিচ্ছাকৃত বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম চলে এসেছে, অনুষ্ঠানেই আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি।

লিখিত বক্তব্যে রহমত উল্লাহ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় আমি মুজিবনগর সরকার গঠনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা, ১০ই এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকার গঠন ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (Proclamation of Independence) এবং ১৭ই এপ্রিল ১৯৭১ মুজিবনগর সরকারের শপথ গ্রহণসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন এ সরকারের কর্মপরিকল্পনা এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ে আলোচনা করি। আলোচনাকালে মুজিবনগর সরকারে কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তা উল্লেখ করি এবং মুজিবনগর সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। আমার বক্তব্যের এক পর্যায়ে মুজিবনগর সরকারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কুলাঙ্গার এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন ও পরবর্তীকালে জাতির সাথে বিশ্বঘাতকতাকারী বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করি।

তিনি বলেন, গতকালের আলোচনা সভায় বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোন শব্দ/বাক্য উচ্চারণ করে থাকি তা নিতান্তই আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যেন কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ