ইউরোপীয় ইউনিয়নে অবৈধভাবে প্রবেশ করা মানুষের সংখ্যা কমলেও ভূমধ্যসাগরে মানুষের মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। বর্ডার এজেন্সি ফ্রন্টেক্সের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ সালের প্রথম নয় মাসে ইউরোপে অবৈধভাবে প্রবেশের সংখ্যা ২২ শতাংশ কমে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৪০০ হয়েছে। তবে, এই অভিবাসন পথে মৃত্যুর সংখ্যা কমেনি বরং একটি মানবিক সংকট তৈরি করেছে।
ভূমধ্যসাগর রুটে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বৃদ্ধি: সব রুট মিলিয়ে সংখ্যা কমলেও মধ্য ভূমধ্যসাগর রুটটি এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। ইউরোপে মোট অবৈধ প্রবেশের প্রায় ৪০ শতাংশ এই পথেই হচ্ছে। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হলো এই রুটে আসা অভিবাসীদের মধ্যে যথাক্রমে বাংলাদেশ, ইরিত্রিয়া এবং মিশরের নাগরিকরাই প্রধান। মূল প্রস্থান স্থল লিবিয়া থেকে এ বছর প্রস্থান গত বছরের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এর মানে হলো আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক জীবন বাজি রেখে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।
প্রাণহানির ভয়াবহতা: এই সামগ্রিক পতনের মধ্যেও মানবিক মূল্য অনেক বেশি। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) তথ্য অনুযায়ী ২০২৫ সালে ভূমধ্যসাগরীয় রুটগুলিতে ১ হাজার ৩২৮ জন অভিবাসী মারা গেছেন যাদের অধিকাংশই পুরুষ।
এই রুটগুলোর মধ্যে ভূমধ্যসাগর রুটটিই সবচেয়ে মারাত্মক যেখানে ৮৯৫ জনের মৃত্যুর নথিভুক্ত হয়েছে। বেশিরভাগ মৃত্যুর কারণ হলো ডুবে যাওয়া। বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের অভিবাসীরা এই জীবন-মরণ পথ পাড়ি দিতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হচ্ছেন।
আইওএম-এর একটি প্রতিবেদন বলছে, অনেক অভিবাসী বৈধভাবে ভ্রমণের চেষ্টা করেও ভিসা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত এই অবৈধ পথে যেতে বাধ্য হন।