নিবন্ধন হারাল ‘অধিকার’

বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন বাতিল করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। রোববার ব্যুরোর এক আদেশে সংস্থাটির নিবন্ধন নবায়ন আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।

এনজিও ব্যুরোর জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাজে নিয়োজিত হওয়াসহ বেশ কয়েকটি কারণে ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। সেই কারণগুলো হচ্ছে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নতুন আইন অনুযায়ী আরোপিত বর্ধিত ফি ও ভ্যাট না দেওয়া, বৈদেশিক অনুদানে বাস্তবায়িত প্রকল্পের আটটি আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদনের (অডিট রিপোর্ট) ওপর আপত্তির কোনো জবাব বা ব্যাখ্যা না দেওয়া, অধিকার ডট ওআরজি (odhikar.org) নামের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইস্যু তৈরি এবং তিনটি প্রকল্পে আর্থিক লেনদেনে অসঙ্গতি বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বিষয়ে যথাযথ জবাব না দেওয়া।

অধিকারের আবেদন নিষ্পত্তির এ আদেশে বলা হয়, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন ২০১৬ এর ধারা ৪ (৪) মোতাবেক সংস্থা কর্তৃক দাখিলকৃত নিবন্ধন নবায়নের আবেদনপত্রে অসঙ্গতি থাকা, বিভিন্ন সময় চাওয়া তথ্যাদির সঠিক জবাব বা ব্যাখ্যা ও কাগজপত্র দাখিল না করা, রাষ্ট্রের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন কাজে সম্পৃক্ত থাকার কারণে সংস্থার কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। তাই দাখিলকৃত নিবন্ধন নবায়নের আবেদনটি বিবেচনা করার কোনো সুযোগ নেই। নবায়নের আবেদনটি নামঞ্জুর করা হলো।

সংগঠনটির নিবন্ধন ২০১৫ সালের মার্চে শেষ হয়। তারা ১০ বছর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এনজিও ব্যুরোর কাছে আবেদন করেছিল। তবে রোববার তাদের এ আবেদন নামঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতিল হয় তাদের নিবন্ধন।

এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে কথিত গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত হত্যার বিষয়ে অধিকার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যে তথ্য উপস্থাপন করেছে, তাতে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নিদারুণভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য এনজিও ব্যুরো ব্যক্তির নাম ও পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা চায়। তবে মামলার কারণ দেখিয়ে সংস্থাটি কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ