নাট-বল্টু খোলা সেই বায়েজিদের বাড়িতে হামলা

যান চলাচলের প্রথম দিনেই পদ্মা সেতুর রেলিংয়ের নাট-বল্টু খুলে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো সেই বায়েজিদ তালহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকালে ৩০-৪০ জনের একটি দল রামদা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে হামলা করে। তবে শোনা যায় ছাত্রলীগের একটি অংশ এ হামলার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।

বায়েজিদ তালহা পটুয়াখালী সদর উপজেলার তেলীখালী গ্রামের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছোট ছেলে।

বায়েজিদের বড় ভাইয়ের স্ত্রী হাদিসা আক্তার বলেন, রোববার বিকাল ৪টার দিকে ১০-১২টি মোটরসাইকেলযোগে ৩০-৪০ জনের একটি দল রামদা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার গ্রামের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় দুর্বৃত্তরা এলোপাতাড়ি হামলা করে বসতঘর ভাংচুর করে।

বাড়িতে বায়েজিদের বড়ভাই সোহাগ মৃধার স্ত্রী হাদিসা একাই থাকেন। সোহাগ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স পটুয়াখালীতে কর্মরত। বায়েজিদের আরেক বড়ভাই শিপন মৃধা কাস্টমসে খুলনায় কর্মরত আছেন। বায়েজিদ ঢাকা কলেজে অনার্স ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেন। বায়েজিদের বৃদ্ধ বাবা মো. আলাউদ্দিন মৃধা ঢাকায় থাকেন।

এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হৃদয় আশীষ বলেন, পদ্মা সেতু একটি জাতীয় এবং অদ্বিতীয় সম্পদ; যা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে শ্রেষ্ঠত্ব রাখবে। সে পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে তাচ্ছিল্যের বক্তব্যনসহ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তার প্রতিবাদে সাধারণ জনগণ প্রতিবাদ করেছেন।

এদিকে হামলার ঘটনার পর সদর থানার এসআই ছলিমুর রহমান ও রেজাউল করিম নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজজামান বলেন, হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পারিবারিক কারণে এলাকাভিত্তিক কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ