ডেস্ক রিপোর্ট: হৃদয় মনির-এই নামটির সাথে জড়িয়ে রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নানা সেবা করার ইতিহাস। ২০০৭ সাল থেকে ইতালিতে নিয়মিতভাবে বসবাস করছেন ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ হৃদয় মনির। সার্ভিস ইতালিয়ার কর্ণধার হৃদয় মনির বলেন, ২০১০ সাল থেকে ইতালিতে কাফ সেবা শুরু হয়। ওই সময় শুধু সি জি এল, উইল প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান
এই সেবা দিতো। ২০১২ সাল থেকে বিদেশীদের জন্য এই দরজা খুলে দেয়া হয়। আর হৃদয় মনির ২০১৫ সাল থেকে ইতালিতে বাংলাদেশের মধ্যে সর্বপ্রথম কাফ এবং পাদ্রোনাতো ব্যবসা শুরু করেন। দীর্ঘদিনের পথ চলায় হৃদয় মনির এই ব্যবসায় একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি।
যারাই ইমিগ্রেশন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, নাগরিকত্ব, সোজর্নের পারমিটের নবায়নের আবেদনসহ এক্ষেত্রে নানাবিধ কাজ করে থাকেন। শুধু তাই নয় ব্যবসায়ীদের আইনি সেবাও দিয়ে থাকেন তিনি। ইতালিতে বহু বাংলাদেশী ব্যবসায়ী রয়েছেন-তাদের মধ্যে অধিকাংশই
সরকারি টেক্স দিতে সক্ষম হচ্ছেন না, এ সকল ছোট বড় ব্যবসায়ীদের নামে ইমস থেকে টেক্স আসা শুরু শুরু করেছে। ১০ থেকে ৮০ হাজার ইউরো পর্যন্ত টেক্স বকেয়া রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলে জানান তিনি। হৃদয় মনির বলেন, সরকার ট্যাক্স আদায়ে নানা কৌশল অবলম্বন করছে। ইতিমধ্যেই অনেকের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকের রক্ষিত টাকা উদ্ধার করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, সরকারি ট্যাক্স না দিলে ইতালিতে থাকার
স্টে পারমিট অথবা সোজর্ন বাতিল হতে পারে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ইমস্ থেকে ট্যাক্স এর চিঠি আসা শুরু হয়েছে। সরকার সেদিকেই এগোচ্ছে। ইমিগ্রেশন বিষয়ে হৃদয় মনির বলেন, ইতালিতে ৩৩ টা ক্যাটাগরিতে বা সোজর্ন হয়ে থাকে। এছাড়া সৌজন্যের আবেদনের কীট তিন প্রকার। এই তিন প্রকার হলো পোস্ট অফিসের মাধ্যমে, পাত্তোনাতো এবং প্রেফেত্তোরার মাধ্যমে আবেদন করা যায়। এছাড়া ইতালিতে ৬৬ টি প্রদেশ রয়েছে উল্লেখ করে জনাব মনির বলেন এসব প্রদেশে আলাদা আলাদা জেলা প্রশাসকের অফিসও আছে।
কাফ করতে হলে একটি এসোসিয়েশন থাকতে হবে। ২০১৪ সালে সার্ভিস ইতালিয়া এদেশের আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন করা হয় বলে জানেন তিনি।
অভিজ্ঞ কাফ ছাড়া ইসে না করার পরামর্শ দিয়ে এই ইমিগ্রেশন বিশেষজ্ঞ বলেন, ভুল ইসে করলে জরিমানা আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্পন্সর ভিসায় ইতালিতে আগতদের স্বাগত জানিয়ে হৃদয় মনির বলেন, আমরা কৃষি ভিসা এবং বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আসা বাংলাদেশীদের অভিজ্ঞ এডভোকেটের মাধ্যমে তাদের ডকুমেন্ট করে দিয়ে থাকি।
ইতালিতে একজন অভিজ্ঞ আইনী পরামর্শক ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডেও জড়িত রয়েছেন হৃদয় মনির। মূলত নানাভাবে প্রবাসীদের সেবা করে ইতালিতে বিশেষ করে রাজধানী রোমে একটি বাসযোগ্য সমাজ তৈরিতে মনোযোগী হতে চান।
