চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে পদবঞ্চিতদের একাংশের ডাকা অবরোধ স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১২টার দিকে এ ঘোষণা দেয় অবরোধকারী গ্রুপগুলো।
মঙ্গলবার সকালে রেড সিগন্যাল উপগ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রকিবুল হাসান দিনার যুগান্তরকে স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের নেতা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ভাইয়ের নির্দেশে আমরা অবরোধ স্থগিত করেছি। তার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে আমাদের বিষয়টি মীমাংসা করবেন।
এর আগে সোমবার ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে অবরোধ শুরু করে চবি ছাত্রলীগের ৬ উপগ্রুপ। এগুলো হলো— ভার্সিটি এক্সপ্রেস, বাংলার মুখ, রেড সিগন্যাল, কনকর্ড, এপিটাফ ও উল্কা। সবগুলো গ্রুপ সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
প্রায় ৭ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উপস্থিতিতে তারা ফটক খুলে দেয়। ফটক খুলে দিলেও অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। পরে রাত ১২টার দিকে অবরোধ স্থগিতে ঘোষণা করেন নেতাকর্মীরা।
অবরোধের কারণে শাটল ট্রেন-বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়েন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৭টি বিভাগের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এতে করে সেশনজটের আশঙ্কা বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের পরীক্ষার্থীরা।
অবরোধকারীদের দাবির মধ্যে ছিল— পদবঞ্চিত ত্যাগী ও পরিশ্রমী কর্মীদের মূল্যায়ন করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা। কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতাদের যোগ্যতা অনুসারে পদগুলোর পুনঃমূল্যায়ন করা। কমিটিতে পদপ্রাপ্ত বিবাহিত, চাকরিজীবী ও দীর্ঘদিন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া।