প্রিয় মানুষটিকে না পেয়ে আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার ঘটনা বিরল নয়। এমনকি পরিবার বা সমাজের কারণে মনের মানুষের সঙ্গে ঘর বাঁধতে না পেরে একসঙ্গে প্রেমিক যুগলের আত্মঘাতী হওয়ার নজিরও আছে। এক্ষেত্রেও একসঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হতে গিয়েছিলেন প্রেমিক যুগল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঘটে অভিনব ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদেনে জানিয়েছে, ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াজরাজ এলাকার ওই প্রেমিক যুগল একে অপরকে ভালোবাসলেও ঘর বেঁধেছিলেন আলাদা আলাদা মানুষের সঙ্গে। পরিবার ও সমাজের চাপে প্রিয় মানুষকে নিজের করে না পাওয়ায় একসঙ্গে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
আত্মহত্যার দিন-তারিখ-সময়ও ঠিক করে ফেলেন তারা। দুজনে হাজির হন যমুনা নদীর একটি ব্রিজের ওপর। বিরহের চেয়ে মরণও ভালো–নীতিতে বিশ্বাস করে নদীতে ঝাঁপ দেন প্রেমিকা। কিন্তু ঝাঁপ দিয়েই বুঝতে পারেন প্রেমিক প্রতারণা করেছেন তার সঙ্গে; নদীতে ঝাঁপ না দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ব্রিজের ওপরেই।
ভাবছেন প্রেমিকা নদীতে ডুবে আক্ষরিক অর্থেই মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন। এখানেও আছে চমক। মোটেও পানিতে ডুবে মৃত্যুকে বরণ করে নেননি তিনি। বরং সাঁতরে দিব্যি পার হয়ে গেছেন নদী!
তবে চমকের এখানেই শেষ নয়। নদী পার হয়েই ক্ষান্ত হননি ৩২ বছর বয়সী প্রেমিকা। ছয় বছর বয়সী এক মেয়ের মা ওই প্রেমিকা নদী পার হয়েই ধর্ণা দিয়েছেন পুলিশের কাছে। রীতিমতো প্রতারণার অভিযোগে দুই বছরের ছোট প্রেমিকের বিরুদ্ধে এফআরআই দায়ের করেছেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ওই নারী বর্তমানে হাসপাতাল চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা ও মোবাইল ফোন নষ্ট করার অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।