ডেস্ক রিপোর্ট: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাঙ্গামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহী। এই আইনের বিরোধিতা করে সকল শ্রেণীর সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেছিলেন। বলেছিলেন, এই আইন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রয়োগ হবে। তাই হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।
রাঙ্গামাটির এই তরুণ সাংবাদিক অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি বলে তাকে এ ধরনের মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ফজলে এলাহী গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারাসহ দেশব্যাপী সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেছেন।
অবশেষে ফজলে এলাহীকে জামিন দিয়েছেন আদালত। তার এই জামিনের সংবাদ দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। এই জামিনের সংবাদ ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলা ভাষাভাষী দেশ বিদেশে থাকা কোটি প্রাণে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় সংবাদ টি। সকলেই আনন্দ প্রকাশ করেন।
প্রশ্ন হল, যে আইনের বিরোধিতা করেছিলেন সাংবাদিক সমাজ, যে আইন একজন সৎ সাংবাদিককে কারাগারে নিক্ষেপ করতে সক্ষম-কার স্বার্থে তা বহাল রাখা হয়েছে?
সাংবাদিকদের বিরোধিতার মুখে পড়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন না। বাস্তবে আমরা কি দেখছি? দেশের বাইরে সাংবাদিকতার সাথে জড়িত সকলেই এই ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন এবং ফজলে এলাহী মুক্তির পর এখন আনন্দিত। সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে পারে। অন্যথায় ক্ষমতার পালাবদলে তাদের অনুসারী সাংবাদিকরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
বাংলা প্রেস ক্লাব ইতালি রাঙামাটির সাংবাদিক ফজলে এলাহীর মুক্তিযুদ্ধ প্রকাশ করেছে। সংগঠন টি ফজলে এলাহী সাফল্য কামনা করেছেন।
