ইতালির দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীরা ১১৮ বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চতর ডিগ্রি নিতে পারবে

ডেস্ক রিপোর্ট:ও লেভেল পরীক্ষায় ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলামে ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ফলে
নতুন প্রজন্মের জন্য উচ্চশিক্ষার দার উন্মোচিত হলো।তারা পড়াশোনা করতে পারবে বিশ্বের ১১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।১৯৯০ সাল থেকে ইতালিতে বাংলাদেশীদের বসবাস শুরু হয়। ওই সময় থেকে এখানে বড় হওয়া শিশু কিশোররা ইতালীয় ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় পড়াশুনা করার সুযোগ ছিল না।
বিশেষ করে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার স্বপ্ন দেখতে পারতো না তারা। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়াতে বাংলাদেশী ছেলেমেয়েদের বাধ্য হয়েই
ইতালীয় ভাষায় পড়াশোনা করতে হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে এখানে বাংলাদেশী মালিকানায় গড়ে তোলা হয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।। দি ইউরোপিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০২৫ সালে শতভাগ উত্তীর্ণ হয়ে রেকর্ড
গড়েছে বাংলাদেশিরা। রোমে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুল থেকে শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে শতভাগ উত্তীর্ণ হয় এবং তাদের মঙ্গলবার আইজিসিএসি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই সার্টিফিকেট প্রজন অনুষ্ঠানে প্রচেষ্টাচারের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ জসিম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রনি আহমেদ, পরিচালক মিঠু আহমেদ এবং কমিউনিটির নেতা ইকবাল আহমেদ বাবুসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা মনে করেন এই স্কুলে পড়াশোনার মাধ্যমে তাদের উচ্চ শিক্ষার এক অপার সুযোগ তৈরি হয়েছে । অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা সুস্মিতা সুলতানা। এই সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে অপর শিক্ষিকা নাফিসা আক্তারকে বিশেষ ভূমিকা এই কাজ করতে দেখা গেছে।
ইতালির অন্যান্য ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে যেখানে বার্ষিক কমপক্ষে ১৫ হাজার ইউরো দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ২১ লক্ষ টাকা সেখানে বাংলাদেশীদের প্রতিষ্ঠিত স্কুলে বছরে প্রায় ৩ হাজার ইউরো দেশীয় মুদ্রা প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকায় ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে।
ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কারিকুলাম এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে এখানে পড়াশোনা করানো হয়। চলতি বছর ১৩ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩ জনই উত্তীর্ণ হয়েছে।
এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানে পোশাক পড়া শিক্ষার্থীদের টুপি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী ছাড়াও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে এক শিশুর নৃত্য মুগ্ধ করে সকলকে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ