মন্তব্য প্রতিবেদন: দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীর মধ্যে ফুটবলকে ভালবাসেন না- এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। বহু বছর আগের ঘটনা, তখন আবাহনী মোহামেডান চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুটি ক্লাব।এই দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বহুবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সমর্থনকে কেন্দ্র করে। প্রথম ডিভিশনের একটি খেলায় তৎকালীন রেফারি আব্দুল আজিজ চোখে পড়ার মতো পক্ষপাতিত্ব করেও একটি দলকে জেতাতে পারেননি। পরের দিন একটি দৈনিকে ব্যানার হেডিং ছিল এরকম-“”রেফারি আজিজের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব,,, পরাজয় ঠেকাতে পারেনি””আমরা সম্মানের কথা বিবেচনা করে পরাজিত ওই ক্লাবটির নাম উল্লেখ করিনি।
ঠিক তেমনি আওয়ামী রাজনীতিতে ইউরোপে দুইজন রেফারি রয়েছেন। ইতালি আওয়ামী লীগের ওই সময়ের দুই গ্রুপকে নিয়ে ওই দুই রেফারি ঠিক আজিজের মতই পক্ষপাতিত্ব করেছেন এবং করে যাচ্ছেন এখনো।
্প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব হোসেনকে সভাপতি এবং আলমগীর হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে লিখিত অনুমোদন দেবার পর অনেকেই এখন বলছেন, “”ইউরোপের রেফারিদের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্ব একটি পক্ষের পরাজয় ঠেকাতে পারেনি””
মাহতাব আলমগীর এখন ঘর গোছানো নিয়ে ব্যস্ত। দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রায় প্রতিদিনই এক বা একাধিক বৈঠক করে চলেছেন। ্উ্দ্দেশ্য, ইতালি আওয়ামীলীগের আগামী নির্বাহী কমিটিতে যারা আসবেন সম্ভাব্য সেই সকল নেতা কর্মীদের বাছাই করা। তাদের প্রতি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা একটু বেশিই রয়েছে। ফলে কমিটির আকার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী করতে গেলে সকলকে জায়গা দেয়া সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
তবু সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন মনে করেন, সত্যিকারের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে কমিটিতে স্থান দেবার চেষ্টা করবেন তিনি। তবে হাইব্রিড এবং দলের সুনাম বিনষ্ট কারীদের ব্যাপারেও তিনি সতর্ক থাকবেন বলে জানান। আগামী ২৭ নভেম্বরের পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
