পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ওসিসহ ৬ জনের নামে গ্রামপুলিশ (মহল্লাদার) নিয়োগে অনিয়ম, স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেছেন মো. রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি।
বিবাদীরা হলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সদ্য বিদায়ী), উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী , উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা, উপজেলার মন্ডতোষ ইউপির চেয়ারম্যানসহ ৬ জন। মামলায় উল্লেখিত সবাই গ্রামপুলিশ নিয়োগ বোর্ডের সদস্য।
মামলার বাদী মো. রুহুল আমিন উপজেলার দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
খোঁজ নিয়ে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে শূন্যপদে একজন করে গ্রামপুলিশ (মহল্লাদার) অস্থায়ী ভিত্তিতে পূরণের জন্য আবেদনপত্র আহবান করে উপজেলা প্রশাসন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ডতোষ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের শূন্য পদে ২নং ওয়ার্ড থেকে ১ জন, ৮নং ওয়ার্ডে থেকে ১ জন এবং ৯নং ওয়ার্ড থেকে ২ জন মোট চারজন আবেদন করেন। ১০ সেপ্টেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা নির্বাহী অফিস কার্যালয়ে। ৫টি ইউনিয়নের একাধিক প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও মন্ডতোষ ইউনিয়নের ২ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।
পাবনার ভাঙ্গুড়া থানা সহকারী জজ আদালতে দায়ের করা মামলার নথি থেকে জানা যায়, মন্ডতোষ ইউনিয়নের গ্রামপুলিশে আবেদনকারী রুহুল আমিন ও শরীফ আলী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য কোনো চিঠি কিংবা নোটিশ পাননি। অভিযোগকারী রুহুল আমিন ও শরীফ কোনো নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য চিঠি পাননি। অজ্ঞাত কারণে শুধুমাত্র নিয়োগকৃত প্রার্থী মো. মাহবুব আলম ও শাখাওয়াত হোসেন খোকনকে পরীক্ষায় উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু শাখাওয়াত হোসেনের বয়স ৩০ বছর ৬ মাস হওয়ায় মৌখিক পরীক্ষায় বাদ দিয়ে মাহবুব আলমকে নির্বাচিত করা হয়।
রুহুল আমিন জানান, তাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোনো পত্র বা নোটিশ না দিয়ে গোপনে ১০ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা হয়েছে এবং ভোটার আইডিতে বয়স বেশি সত্ত্বেও জন্ম সনদে বয়স কমানো ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি বাদী হয়ে কোর্টে নিয়োগকৃত ব্যক্তিসহ নিয়োগ বোর্ডের পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মন্ডতোষ ইউপি চেয়ারম্যান আফসার আলী বলেন, নিয়োগ সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়েছে। নিয়োগকৃতের বয়স তার সার্টিফিকেট সাপেক্ষে যাচাই করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, অভিযোগকারী ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলাটি করেছেন। মূলত ওই ব্যক্তির দাখিলকৃত কাগজপত্রাদি সঠিক ছিল না। মামলার বিষয়ে আদালতকে যথানিয়মে জবাব দেওয়া হবে।