আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে শনিবার (১৪ মে) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১৩ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালনের কথা জানান হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকার এই মর্মে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যে, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে আগামী ১৪ মে শনিবার বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালন করা হবে। এজন্য শনিবার বাংলাদেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের রুহের মাগফেরাতের জন্য শনিবার বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন জায়েদ আল প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট এবং আবুধাবির শাসক শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান শুক্রবার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। শুক্রবার প্রেসিডেন্সিয়াল মন্ত্রণালয় তার মৃত্যুর খবর জানান হয়।

এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্সিয়াল মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, আরব আমিরাতের সাধারণ জনগণ, আরব ও ইসলামিক বিশ্ব এবং পুরো বিশ্ব প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে সমবেদনা জানাচ্ছে প্রেসিডেন্সিয়াল মন্ত্রণালয়।

শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ২০০৪ সালের ৩ নভেম্বর থেকে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

২০০৪ সালে শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের বাবা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান মারা গেলে তিনি প্রেসিডেন্ট হন।

শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আরব আমিরাতের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট ও আবু ধাবির ১৬তম শাসক ছিলেন।

তিনি শেখ জায়েদের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান আবুধাবির অবকাঠামো উন্নয়নে মনোযোগ দেন।

আরব আমিরাতের বর্তমান অবস্থানের জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি দেশটির তেল ও গ্যাসের ওপর গুরুত্বারোপ করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ