আমি লজ্জিত!!!

মন্তব্য প্রতিবেদন: ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান যখন বললেন, “আপনাদেরই একজন, রোম দূতাবাসের প্রবাসীদের হামলার ঘটনার নেতৃত্ব দিয়েছে”-তখনই আমি লজ্জিত!
যখন তার নাম বললেন, তার এবং তার স্বামীর বিক্ষুব্ধ প্রবাসীদের ভাঙচুরে উস্কে দেবার ভূমিকার কথা বললেন, তখন আমি লজ্জিত, যখন তার পেশার কথা বললেন, তখন আমি লজ্জিত।

যখন আমি নিজ চোখে তাদের আচরণ কথাবার্তা এবং শারীরিক ভাষা দেখলাম, তখনো আমি লজ্জিত!!!
একজন নারী সাংবাদিক হয়ে পাসপোর্ট বঞ্চিত প্রবাসীদের উসকে দিয়ে, আগের দিন ফেসবুকে লাইভ দিয়ে, একটি রেস্টুরেন্টে গোপন বৈঠক করে যখন আমাদের দূতাবাসে হামলার পরিকল্পনা নেয়, তখনও আমি লজ্জিত!!!
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট করেই বলেছেন, যে দূতাবাসের ভবনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ছে, যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি টাঙ্গানো রয়েছে-সেই দূতাবাসে হামলা, ভাঙচুর, লাথি মারা-মেনে নেয়া যায় না। তিনি তার অফিসের চারদিকে নিরাপত্তার জন্য লাগানো উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সিসিটিভির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, আমাদের কাছে সকল ভিডিও ফুটেছে রয়েছে। ঐ নারী সংবাদিককে এক সেকেন্ডের জন্যও আন্দোলনকারীদের নিবৃত্ত করতে দেখা যায়নি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, তাহলে তো ভেবে নিতাম উনি চেষ্টা করেছেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, সেই নারী সাংবাদিক এবং তার স্বামী ইতালিতে কোন কমিউনিটির নেতা নেত্রী নন। বাংলাদেশ সমিতি কিংবা অন্য কোন সংগঠনের সভাপতি সম্পাদক আসেননি তাদের সাথে।
এর পেছনে যে কারণ রয়েছে তা উদঘাটন করবেন রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান। সর্বশেষ দূতাবাসের ফটক ভাঙচুর এবং বাইরে ডাস্টবিনে অগ্নি সংযোগের ঘটনার সাথে আগের হামলার কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা তাও তিনি খতিয়ে দেখবেন।
অভিযোগ রয়েছে, ওই নারী সাংবাদিক বগুড়ার একটি কলেজে পড়াশোনার সময় জামাতে ইসলামের “ইসলামী ছাত্রী সংস্থার” সাথে জড়িত ছিলেন। রাজধানীর রোমে আসার পরও তাকে ঐ লাইনে চলাফেরা করতে দেখা গেছে। প্রশ্ন হল-একজন জামাত পন্থী নারী সাংবাদিক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির কোন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাবার অধিকার রাখেন কি?

রোম দূতাবাসের সাংবাদিকদের সম্মানিত ইফতার মাহফিলের আমন্ত্রণ না পেয়ে পাগলের মতো তিনি ছুটে বেরিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে, তদবিরের চেষ্টা করেছেন। রাজনৈতিক এবং সামাজিক নেতাদের টেলিফোনে বিরক্ত করেছেন, whatsapp এবং ম্যাসেঞ্জারে মেসেজ দিয়ে বিরক্ত করতে করতে তাদের সময় নষ্ট করেছেন। কিন্তু ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত সাংবাদিকদের সম্মানে দেয়া ইফতার মাহফিলে তার অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি, এজন্যও আমি লজ্জিত!!!

আমি লজ্জিত ওই নারী সাংবাদিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে ভিডিও ধারণ করেন আবার নাকি ছবিও তোলেন। কিন্তু টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার হয় না-খোঁজ নিয়ে জেনেছি নিউজও পাঠান না! তার একটি কথিত অনলাইন পোর্টালে কয়েকটি ছবি দিয়ে দায় শেষ করেন-তখনো আমি লজ্জিত!!!
আমি আবারো লজ্জিত হব-যদি এই সমাজ, মুক্তিযুদ্ধে লালিত বিভিন্ন সংগঠন এবং আঞ্চলিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তাকে বয়কট করে-আমি তখনও লজ্জিত হব!!!

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ