আমার দেখা ইউরোপের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক: হাসান মাহমুদ


মন্তব্য প্রতিবেদন: বাংলাদেশের বহুগুণী সাংবাদিকদের সাথে কাজ করার, ইউনিয়ন করার এবং জাতীয় প্রেসক্লাব সদস্য হবার সুযোগে তাদের সান্নিধ্য পাবার অপার সুযোগ হয়েছিল আমার। কালের গহ্বরে অনেক সময়
পেরিয়ে গেছে। আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশের অনেক প্রথিতযশা সাংবাদিকে। মনে পড়ে সানাউল্লাহ নূরী, হাবিবুর রহমান মিলন, জহিরুল হক, রিয়াজ উদ্দিন
আহমেদ, আমানুল্লাহ কবীর, গোলাম সারোয়ার, আব্দুল বাতেন, মোজাম্মেল হক-যারা বাংলাদেশের সংবাদপত্রে
আজীবন বেঁচে থাকবেন। তারা সবাই আজ অতীত। জাতীয় প্রেসক্লাবের চায়ের টেবিলে ট্রেড ইউনিয়ন এবং প্রেসক্রাইব করার কারণে একই টেবিলে বসে চা পানের সুযোগ হয়েছিল তাদের সাথে। বর্তমান সময়ের
অনেক সাংবাদিক তাদের দক্ষতা আর যোগ্যতায় প্রচন্ড দাপটে চলছেন। আজ মনে পড়ে চারণ সাংবাদিক মুনাজাতউদ্দিনের কথা। তার সাথে আমার প্রথম
পরিচয় ১৯৮৮ সালে পাবনায়। ভয়াবহ বন্যায় তখন পুরো দেশ সয়লাব। রিপোর্ট করতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়ে ছিলাম তখন। তিনিও আজ নেই।
বর্তমান সময়ের আলোচিত সাংবাদিক এম এ আজিজ, জ ই মামুন, মুন্নি সাহা, শ্যামল দত্ত, সৈয়দ ইফতিয়াক রেজা, প্রণব সাহা, সাহেদ চৌধুরী, বিবিসির কাদির কল্লোল-তাদের সাথে মাঠে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল। দেখেছি তাদের দক্ষতার যোগ্যতা এবং পরিশ্রম করার অদম্য বাসনা।
ইউরোপে এসে যে কজন সাংবাদিকের সাথে আমার পরিচয় ঘটেছে, কিংবা যাদের সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে-তাদের মধ্যে এন টিভি ইতালির ব্যুরো প্রধান আফজাল হোসেন রোমান অন্যতম। তিনি ইউরোপের শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক নির্বাচিত হয়েছেন, এটা তার সাফল্য। কিন্তু একজন পরিশ্রমে এবং বিচক্ষণ
সাংবাদিক হিসেবে আমার নজর কেড়েছে রোমান। তার দক্ষতা এবং দূরদর্শিতায় আমি মুগ্ধ হয়েছি একজন সাংবাদিক হিসেবে। রোমান ইউরোপ বিশেষ করে ইতালির সর্বত্র তার ব্যাপক পরিচিতি ঘটেছে। ব্যক্তির রোমান ভিন্ন কথা। কিন্তু একজন সাংবাদিক রোমানের নাম উচ্চারিত হবার সাথে সাথে তার যোগ্যতা সামনে চলে আসে। এই সমাজ, বাংলাদেশী কমিউনিটি, বিদেশীদের নানা অনুষ্ঠান, ধর্মীয় প্রোগ্রাম এবং সমাজের বিচ্যুতি তুলে ধরার ক্ষেত্রে তিনি আপোষহীন হয়ে কাজ করে থাকেন।
বাংলা টিভির শাওন আহমেদ একটি পরিচিত নাম। তিনি ফিরেন্স থেকে যখন রোমে আসেন, তখন স্বদেশ বিদেশ পত্রিকা দৈনিক আকারে প্রকাশিত হয়। প্রতিদিন ছাপা হয় প্রেসে। ইকবাল হোসেন সম্পাদক ছিলেন। আমি ছিলাম উপদেষ্টের সম্পাদক। শাওন আহমেদ পত্রিকাটির মেকাপের কাজ করতেন। খুব ভালো হাত তার ‌ যা দেখিয়ে দিতাম, যেভাবে বলতাম শাওন আহমেদ দ্রুততার সাথে সে কাজটি করতেন। তিনিও এখন সাংবাদিক! (চলবে)

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ