মাঠে খেলতে নামার আগেই যদি হৃদয়ের মণিকোটায় হেরে যাওয়ার ভয় থাকে তাহলে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
শ্রীলংকার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে পরপর দুই ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট আর ২৩ রানে ৪ উইকেট পতন প্রসঙ্গে এমনটি বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
সাকিব বলেন, আমার কাছে মনে হয় আমরা টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে ফিট দল। কারণ আমরা সবচেয়ে বেশি ফিল্ডিং করি বেশিরভাগ সময়ই। শারীরিকভাবে আমরা ফিট, মানসিক সমস্যা হয়ত বেশি; যে জায়গা নিয়ে অনেক বেশি কাজ করার আছে। শারীরিকভাবে আমরা অনেক বেশি ফিট।
করোনা সংক্রমণ থেকে ফিরেই চট্টগ্রাম টেস্টে বল হাতে ৩ উইকেট আর ব্যাট হাতে ২৬ রান করেন সাকিব। চলমান ঢাকা টেস্টে ব্যাট হাতে শূন্যরানে আউট হলেও বল হাতে দারুণ সফল বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। প্রথম ইনিংসে ৪০.১ ওভার বোলিং করে ৯৬ রানে শ্রীলংকার ৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব।
সাকিব বলেন, প্রিমিয়ার লিগে চারটা ম্যাচ প্রচণ্ড গরমের মধ্যে খেলেছিলাম। এ জিনিসটা আমাকে সহায়তা করেছে। আর আমি জানতাম চট্টগ্রামে প্রথম দুই দিন আমার জন্য কষ্টকর হবে, এরপর আস্তে আস্তে সহজ হয়ে যাবে। একটু চান্স নেওয়া বলতে পারেন। তবে ক্যালকুলেটিভ চান্স।
সাকিব আরও বলেন, খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে সে নিজেকে কোন জিনিসটাতে ফিট মনে করে। ম্যাচ খেলার মতো ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেসে ভিন্ন আছে। অনেক ফাস্ট বোলার ম্যাচে অনেক সুন্দর করে বল করতে পারে, কিন্তু বিপ টেস্টে ১০ নম্বর অতিক্রম করতে পারে না। অনেকে বিপ টেস্টে ১২-১৩ রেখেও ৫ ওভারও বল করতে পারে না। ফিটনেসের সংজ্ঞা একেক সময় একেক রকম। ম্যাচ ফিটনেস আর ফিজিক্যাল ফিটনেস ভিন্ন জিনিস।
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ৩ ইনিংসে ৪০০-৪৫০ ওভার ফিল্ডিং করেছি। লিটন সাড়ে ৪০০ ওভার কিপিং করে ১৪১ করেছে, মুশফিক ভাই ১৭৫ করেছে। ফিজিক্যালি সবাই ফিট, সমস্যা মানসিক। আমরা হয়ত ব্যর্থতার ভয় অনেক বেশি করি। উল্টো চিন্তা করলে ভালো কিছু আসতে পারে।