শুক্রবার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর পরেই নিজাম প্যালেসে সিবিআই’র দপ্তরে তার কঠোর জেরা শুরু হয়েছে। দিল্লি থেকে আসা সিবিআই অফিসার অজয় ভাটনগর এই জেরায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনুব্রত’র জন্য দীর্ঘ একটি প্রশ্নমালা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রশ্নমালায় প্রথম যে প্রশ্নটি রাখা হয়েছে তা হলো, গরু পাচারকা-ের নায়করা তাকে সেফ করিডর করে দেয়ার জন্য কত পরিমাণ প্রোটেকশন মানি দিতেন। একচল্লিশ পাতার যে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট সিবিআই পেশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, গরু ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ এবং এনামুল হকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন অনুব্রত দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফোন ব্যবহার করে। সায়গল হোসেনকে সম্প্রতি ধরেছে সিবিআই। নগদ চার কোটি টাকা ছাড়াও ৩৫টি সম্পত্তির কাগজপত্র পাওয়া গেছে তার কাছ থেকে। অনুব্রতকে ইলামবাজারের একটি গরু বিক্রি কেন্দ্র সম্পর্কেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অনুব্রতকে এদিন দুবার কন্যা রুবাইয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেয়া হয়। অবশ্য স্পিকার ফোনে।
সিবিআই এক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে কিছুটা মানবিক হয়। অনুব্রতর জিজ্ঞাসা ছিলো দুটি বাড়ির সব ঠিকঠাক চলছে তো আর পার্টি তার ব্যাপারে কি বলেছে? এর বাইরে অবশ্য সিবিআইও তাকে কোনও কথা বলতে দেয়নি।