পর্তুগাল ভ্রমণে লাগবে করোনা টিকা সার্টিফিকেট

২২ এপ্রিল থেকে সামান্য কিছু ব্যতিক্রম রেখে মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা শিথিল করল পর্তুগিজ সরকার; তবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি পরিবর্তন করেনি অর্থাৎ ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সব ভ্রমণকারীকে পর্তুগাল ভ্রমণের এখনো ইইউ করোনা সার্টিফিকেট অথবা করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ টেস্ট উপস্থাপন করতে হবে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো বা শেনজেন অঞ্চলসহ (লিচেনস্টাইন, নরওয়ে, আইসল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড) অ্যাঙ্গোলা, ব্রাজিল, কাপু ভার্দে, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গিনি-বিসাউ, মোজাম্বিক, যুক্তরাজ্য এবং সাও টোমে এবং প্রিন্সেপ , সৌদি আরব, বাহরাইন, চিলি, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, নিউজিল্যান্ড, পেরু, গণপ্রজাতন্ত্রী চীন, কাতার, রুয়ান্ডা, সৌদি আরব, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং উরুগুয়ে, সেইসাথে তাইওয়ান এবং প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে হংকং এবং ম্যাকাও।

উপরে উল্লেখিত দেশ গুলি বাদে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর নাগরিকগণ শুধুমাত্র “প্রয়োজনীয় ভ্রমণের” জন্য অনুমোদিত, অর্থাৎ পেশাগত, অধ্যয়ন এবং পারিবারিক পুনর্মিলনের উদ্দেশ্যে এবং স্বাস্থ্য বা মানবিক কারণে ভ্রমণকারী নাগরিকদের পর্তুগালে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। পর্তুগালে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের হালনাগাদ ইইউ করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট থাকলে করোনা টেস্ট করার প্রয়োজন নেই।

অপরদিকে যে আইনটি পর্তুগালের সমস্ত ফ্লাইটে প্যাসেঞ্জার লোকেটার ফর্ম পূরণ করার প্রয়োজন ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে, এখন বোর্ডিংয়ের সময় এটি উপস্থাপন করার আর প্রয়োজন নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারতা টেমিদো সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে যেসব দেশের ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট গ্রহণ করে সেই দেশগুলোর মধ্যে আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, আর্মেনিয়া, বেনিন, কাবো ভার্দে, কলম্বিয়া, এল সালভাদর, ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ, জর্জিয়া, ইস্রায়েল, আইসল্যান্ড, জর্ডান, লেবানন, লিচেনস্টাইন, মালোইসিয়া, মলদোভা, মোনাকো, মন্টিনিগ্রো, মরক্কো, নিউজিল্যান্ড, উত্তর মেসিডোনিয়া, নরওয়ে, পানামা, সান মারিনো, সার্বিয়া, সিঙ্গাপুর, সুইজারল্যান্ড, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তিউনিসিয়া, টোগো, তুরস্ক, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং ক্রাউন নির্ভরতা (জার্সি, গার্নসি এবং আইল অব ম্যান), উরুগুয়ে, ভ্যাটিকান অন্যতম।

গত ২১ এপ্রিল পর্তুগাল সরকারের করোনায় বিধিমালা এর ভ্রমণ সংক্রান্ত আইনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যদি কোন বিমান বা জাহাজ কর্তৃপক্ষ যাত্রী বোর্ডিং করার পূর্বে এই নিয়মের যথাযথ পালন না করে তাহলে আগত যাত্রীকে বন্দরে করোনা পরীক্ষা করা হবে উক্ত করোনা পরীক্ষার খরচসহ বিমান কর্তৃপক্ষকে জরিমানা গুনতে হবে একই সাথে সাথে যাত্রী করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হলে যাত্রী যদি বিদেশি নাগরিক হয় তার আইসোলেশনের সকল ব্যয় বিমান কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

ভ্রমণপিপাসুদের স্বাগত জানানোর কথা থাকলেও হঠাৎ করেই পর্তুগালে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি যেমন গত সপ্তাহে ৬০ হাজার ৮৩ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হন এবং ১৩৯ জন আক্রান্ত ব্যক্তি মারা যান। ফলে নতুন ভ্যারিয়েন্টের আগমন রুখতে ভ্রমণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বজায় রাখতে বাধ্য হলো পর্তুগিজ সরকার।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ