গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চর্চা এখনও অব্যাহত রয়েছে: নাহিদ ইসলাম

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের চর্চা এখনও অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী গণমাধ্যম সংস্কার হয়নি। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই আগে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করত, এখনো সেই চর্চা অব্যাহত রয়েছে। গণমাধ্যম এখনও রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন করপোরেট প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তবর্তী সরকারের সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, আমি দায়িত্বে থাকাকালে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন করেছিলাম। তাদের দায়িত্ব ছিল পুরো বিষয়টি সংস্কার প্রস্তাব করে সরকারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল, যারা ফ্যাসিবাদের দোসর সংবাদমাধ্যমের কর্মী, তাদের বিচারের আওতায় আনা।’

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে গণমাধ্যমের বিভিন্ন রোল ছিল। আমি ২০২৪ সালের ১-১৯ জুলাইয়ের কথাটা বলেছি। বিভিন্ন সময় পত্রিকা বা বিভিন্ন কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেছিল অনেক সাংবাদিক। ফলে সেখানে ফ্যাসিবাদের পক্ষে যেমন ছিল, আবার ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে অবস্থানও ছিল।

সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘সেনাবাহিনীর যেসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের এক বছরেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। আমি নিজে গুম কমিশনে অভিযোগ দিয়েছি। গুমের ঘটনা ও গণ অভ্যুত্থানে রামপুরা-বাড্ডাসহ বিভিন্ন স্থানে সেনা কর্মকর্তারা গুলি চালিয়ে আন্দোলনকারীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন, তাঁদের কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? এ বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে-কোনো চাপ আছে কি না। তবে আমি আহ্বান জানাব, কোনো চাপ থাকলেও এগুলো বিবেচনায় না নিয়ে যাতে আইন অনুসরণ করা হয় এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হয়।’

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ