সরকারের সবুজ সংকেত পেলে যে আবেদন করতে পারে বিএনপি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে শিগগিরই আবারও আবেদন করবে তার পরিবার। আগামী ২৪ মার্চের আগে যে কোনো সময় এ আবেদন করা হবে।

তবে এবার সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সঙ্গে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিশেষ আবেদনও করা হতে পারে। খালেদা জিয়ার পরিবার ও বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সরকারের নির্বাহী আদেশে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান খালেদা জিয়া। ফৌজদারি কার্যবিধিতে এ সাজা স্থগিত দেখিয়ে এ পর্যন্ত চার দফায় মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪ মার্চ তার মুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, আবেদন তো করতেই হবে। তবে কবে আবেদন করা হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। শামীম (শামীম ইস্কান্দার) বিষয়টি দেখছেন। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের কাছে আবেদন করাই আছে। কিন্তু তারা অনুমতি দিচ্ছে না। এখন কী করা যায় দেখি।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনের একটি নমুনা তৈরি আছে। আগের আবেদনের যে কপি আছে তাতে তারিখসহ কিছু বিষয় পরিবর্তন করা হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে সেলিমা ইসলামের স্বাক্ষর নিয়ে যে কোনো দিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জমা দেওয়া হবে। তবে এবার চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার মেডিকেল রিপোর্টগুলো আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠাতে সরকারের অনুমতির জন্য নতুন উদ্যোগ নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে পরিবার ও দল। উদ্যোগটি কার্যকর হবে তা নির্ভর করছে সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার ওপর।

এদিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজাতে থাকা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আগের তুলনায় বেড়েছে। তার পা ফুলে গেছে। ফলে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর হাঁটাচলা করতে সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি জানিয়ে সেলিমা ইসলাম বলেন, চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ