স্ত্রীকে খুন করে ‘আত্মহত্যা’ করলেন রবীন্দ্রনাথ

রংপুরের কাউনিয়ায় স্ত্রী শোভা রানীকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে খুনের পর তার স্বামী রবীন্দ্রনাথ বর্মণ (৫০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার মীরবাগ ড্রাইভারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ভাইয়ের হাত থেকে ভাবি শোভা রানীকে বাঁচাতে গিয়ে চেতনা বর্মণ ও গোলাপ বর্মণ নামে দুভাই গুরুতর আহত হয়েছেন।

থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী রবীন্দ্রনাথ বর্মণ ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী শোভা রানীকে ছুরিকাঘাত করেন। তার চিৎকারে রবীন্দ্রনাথ বর্মণের আপন ভাই চেতনা বর্মণ এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করলে তার একটি কান কেটে মাটিতে পড়ে যায়।

আহত দুজনের চিৎকারে চাচাতো ভাই গোলাপ বর্মণ এগিয়ে গেলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেন রবীন্দ্রনাথ। এ সময় ঘরের আসবাবপত্রে আগুন লাগিয়ে দিয়ে রবীন্দ্রনাথ বর্মণ গোয়ালঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের লোকজন দাবি করেন।

প্রতিবেশিরা আহত তিনজনকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন শনিবার ভোরে শোভা রানী মারা যান। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে পরিবারের লোকজন গোয়ালঘরের সামনে গিয়ে রবীন্দ্রনাথকে ডাকলে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।

পরিবারের লোকজন ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ রবীন্দ্রনাথের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

পরিবারের লোকজন জানান, রবীন্দ্রনাথ মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। সে এক বছর ধরে একাকি রান্না করে একাই খেয়ে জীবনযাপন করে আসছিল। সে দুই সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।

কাউনিয়া থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, ঘটনার বিষয়ে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ বর্মণের লাশ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছি।

রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, রবীন্দ্রনাথ বর্মণ আত্মহত্যা করেছেন, না তাকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়ে পুলিশের সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ