অবশেষে আন্দোলনরত বেসরকারি রেসিডেন্ট ও নন-রেসিডেন্ট পোস্টগ্র্যাজুয়েট চিকিৎসকদের ৫ হাজার টাকা ভাতা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতে চিকিৎসকদের ভাতা ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত হবে।
রোববার রাতে যুগান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তবে এ ভাতা বৃদ্ধি প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে মাত্র ৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে তাদের সঙ্গে তামাশা করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউ উপাচর্য যুগান্তরকে বলেন, বেসরকারি পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের সবকিছু বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাতা আপাতত পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করেছেন। সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আমাকে এ তথ্য জানিয়েছেন। আমি চিকিৎসকদের আহ্বান করছি আন্দোলন সংগ্রাম ছেড়ে রোগীর সেবায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য।
প্রাইভেট পোস্টগ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নূরনবী যুগান্তরকে বলেন, আমরা ৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি মানি না। যে দাবি আমাদের ছিল, সেখানেই রয়েছি। আমাদের দীর্ঘদিনের এ আন্দোলনে দাবি ছিল দুটো। একটা হচ্ছে ভাতা নিয়মিত করা এবং ৫০ হাজার টাকা ভাতা। সেখানে কী করে ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ২৫ হাজার টাকা করা হয়?
তিনি বলেন, আন্দোলনরত সবার সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা কেউ এই ৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি মেনে নিচ্ছি না। ভাতা আরও বাড়াতে হবে। কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে এটা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়নি। যদি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হতো, তাহলে ৫ হাজার টাকা বাড়ানো হতো না। এ পরিস্থিতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন কিনা- এই প্রশ্নে নূরনবী বলেন, আমাদের কর্মসূচি থাকবে।
রোববার সকাল থেকে জাতীয় জাদুঘর ও বিএসএমএমইউর সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। সেখানে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তারা। একপর্যায়ে তারা সড়কে নেমে আন্দোলন করেন। এতে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত সড়কের এক পাশে সব ধরনের পরিবহণ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাতে ভাতা বাড়ানোর ঘোষণার পরও সড়ক ছাড়েননি চিকিৎসকরা। তারা জানান, লিখিত প্রজ্ঞাপন না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।
এদিকে রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দেলনরত চিকিৎসকদের তিনজন প্রতিনিধি। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় বৈঠক চলছিল।