চীনকে দেখাতে ভারতকে বুকে টানছে যুক্তরাষ্ট্র?

চীনকে দেখিয়ে দেখিয়ে ভারতকে আলিঙ্গন করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ আমন্ত্রণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মার্কিন সফরে এমন আভাসই ফুটে উঠেছে। চলমান বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী চীন।

ভারতের সঙ্গেও চীনের সম্পর্কের টানাপোড়েন বহুদিনের। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছাড়াও মোদির এ সফর ঘিরে বিশেষ কূটনৈতিক স্বার্থও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। শনিবার এক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদনে সে চিত্রই তুলে ধরেছে এএফপি।

‘মুসলিমবিদ্বেষী’ সমালোচনা সত্ত্বেও হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের কর্তৃত্ববাদী ধারার বিষয়টিতে চোখে পড়ার মতোই গাছাড়া ভাব দেখিয়েছে গণতন্ত্রের আঁতুড়ঘর খ্যাত বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র। ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদি ছেড়ে ভারতের রাষ্ট্রনীতিতে চোখ রাখলে সেখানেও বে-হিসাবের গলদ।

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে মার্কিন ‘শত্রু’ রাশিয়ার সঙ্গেই সখ্য বেশি ভারতের। তার পরও কেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ? মুখ খুলতেই দুই ঠোঁটের মাঝখানে এসে পড়া এই সহজ জিজ্ঞাসা থেকেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে আরেক নতুন প্রশ্ন? শুধু চীনকে দেখাতেই কি তাহলে এত আয়োজন?

এ বিষয়ে হাডসন ইনস্টিটিউটের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ অর্পণা পান্ডে বলেছেন, ‘বাইডেন আশা করছে চীনকে একটি বার্তা পাঠানোর, আপনার লোক আছে এবং আমারও লোক আছে। ভারত আমার সঙ্গেই আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বাইডেন বিশ্বকে আরও বলার চেষ্টা করছে- আমেরিকা ফিরে এসেছে। আমাদের অংশীদার এবং মিত্র রয়েছে। আমরা ভারতকে আমাদের পাশে পেয়েছি।’

এ বিষয়ে ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউশনের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, ‘এটি খুবই বিড়ম্বনার বিষয় যে, যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ভারতের সঙ্গে কর্তৃত্ববাদী চীনের পার্থক্যও করতে চায়। দুই নেতা যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। তারা এমন একটা অংশীদারত্বে পৌঁছেছে যা দেখানোর জন্য তারা আগ্রহী ছিলেন।’ বাইডেন সরকার বরাবরই চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ হিসাবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উভয়ই প্রকাশ্যে চীন ফ্যাক্টরকে আলোচনায় রেখেছে। তবে কংগ্রেসের ভাষণে মোদি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি আইন প্রণেতাদের ‘মুক্ত, উন্মুক্ত এবং ইন্দো প্যাসিফিক’ বিষয়গুলোকে সমর্থন করে।

ভারত অর্থনীতি দ্রুত বর্ধনশীল যা বিশ্বের জনবহুল দেশ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনের সঙ্গে ভারতের দ্বন্দ্বও দীর্ঘকালের। চীনের সঙ্গে ভারতের এ দ্বন্দ্বকে ভারতের জনগণও ব্যাপকভাবে নেতিবাচক হিসাবে দেখে।

অ্যান্টার্কটিকার নতুন সুরক্ষিত এলাকাগুলো প্রতিরোধ করছে রাশিয়া ও চীন। জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় এবং বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য প্রায় চার মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার সমুদ্রকে রক্ষা করবে তারা। এই এলাকাগুলো পেঙ্গুইন, সীল, টুথফিশ, তিমি এবং বিপুলসংখ্যক ক্রিলের বাসস্থান।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ