অগণিত মানুষের আন্তরিক ভালোবাসায় তার ঝুলি আজ কানায় কানায় ভরা:দীপ আজাদ

ডেস্ক রিপোর্ট: বিদায়ের রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সাথে মিলিত হয়েছিলেন। সেখানে অন্যান্য সাংবাদিকদের সাথে ছিলেন নাগরিক টিভির বার্তা প্রধান ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ।
তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে সেদিনের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করেন। স্বদেশ-বিদেশ পত্রিকার পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো:
”শেষ দিয়ে শুরু করি। আমন্ত্রিত সব সাংবাদিককে বিদায় জানাতে প্রবেশ দ্বারে এসে দাড়ালেন তিনি। হাত মিলিয়ে প্রত্যেককে আলাদাভাবে বিদায় দিলেন। দেশের প্রথম নাগরিক হয়ে তিনি সবার।
নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর পরই বঙ্গভবনে মহামান্যের সাথে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলাম। আমার মতো আরো কয়েকজন একই ইচ্ছে জানিয়েছেন বলে জানা গেল। শেষমেষ সম্মিলিত আয়োজন।
স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে নিরাপত্তার রক্ষীদের উপেক্ষা করে সিনিয়রদের পার হয়ে পৌছে গেলেন পাশের টেবিলে। জ. ই. মামুন , রাহুল রাহা ও আশিস সৈকতের বেশ কিছু সময় ধরে কথা বললেন।
এরপর আমাদের টেবিলে। মুন্নী সাহা ও মাসুদা
ভাট্টির কথা শেষ হতেই দিলাম প্রশ্ন ছুড়ে, “ কোথায় গিয়ে উঠবেন?” সহাস্যে উত্তর, নিকুঞ্জে। ওখানেই থাকবো।
তাহলে আমি আপনার প্রতিবেশী। নিকুঞ্জে ২ এ আমার অফিস। মজা করে বললেন, তখন আর কেউ আটকাবে না। চলে আসবেন।
আরেকটা বিষয় জানার আগ্রহ আছে, প্রধামন্ত্রীকে কি শুধু মাছই খাইয়েছিলেন? আবার সেই হাসি। ভাইপোর বাসায় হাঁসের মাংস ছিল, সেটাও মেন্যুতে ছিল। নানা পদ থাকলেও খেয়েছেন সামান্য।
আলাপের মাঝে নিরাপত্তা রক্ষীদের মূল অনুষ্ঠানে নিয়ে যাবার তাড়া ছিল। তাই প্রথম পর্বে সেখানেই ইতি।
বক্তৃতা পর্বে সিনিয়র থেকে জুনিয়র সবার কন্ঠে ছিল একই সুর। সেটাই ছিল স্বাভাবিক। ৬ দশকের রাজনীতি জীবনে কালিমা ছাড়াই কাটিয়ে দেয়া যার অমূল্য অর্জন।
নিজেকে কৃষকের সন্তান বলতে সামান্য দ্বিধা করেন না। সেই কৃষকের সন্তান আজ ”হাওরের শার্দুল” খেতাব নিয়ে অবসরে যাচ্ছেন। অগণিত মানুষের আন্তরিক ভালোবাসায় তার ঝুলি আজ কানায় কানায় ভরা।””

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ