হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ওই দুই কলেজ ছাত্রীসহ ৮-১০ জন ছাত্রী একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিলেন। সে সময় বখাটে আশিক সোল (দা জাতীয় অস্ত্র) হাতে নিয়ে তাদের পিছন থেকে তাড়া করে। ছাত্রীদের দৌড়ানো অবস্থায় এক ছাত্রীর মাথায় আঘাত করে ওই বখাটে। ছাত্রীটি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে যায়। তাকে রক্ষায় এগিয়ে এলে আরেক ছাত্রীও হামলার শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক একজন ছাত্রীর ডান হাতের আঙ্গুলে সাতটি সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছেন। অপর ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মহিলা ওয়ার্ডের ৩ নং বেডে চিকিৎসাধীন ছাত্রীটিকে আতঙ্কিত সময় কাটাতে দেখা যায়। তিনি জানান, বখাটে আশিক ধারালো সোল দিয়ে তার মাথায় কোপ দিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়।
আহত এই ছাত্রীর বাবা বলেন, তার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে বখাটে আশিক হামলা করেছে। তিনি থানায় মামলা করবেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ওই বখাটে পালিয়েছে। তবে তার বাবা সলেমান বলেন, তার ছেলে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। দুর্ঘটনাবশত ঘটে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আকুল উদ্দিন বলেন, আহত ছাত্রীর হাতের আঙ্গুলে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বিপদমুক্ত।
কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।