রুশদির ওপর হামলাকারীকে পুরস্কার দিচ্ছে ইরান

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক সালমান রুশদির ওপর হামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পুরস্কার দিচ্ছে ইরানের একটি ফাউন্ডেশন।

পুরস্কার হিসেবে হামলাকারীকে এক হাজার বর্গমিটার কৃষিজমি দিচ্ছে ফাউন্ডেশনটি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি মঙ্গলবার তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার ইরানের ‘ফাউন্ডেশন টু ইমপ্লিমেন্ট ইমাম খামেনি’স ফতোয়াস’ এর সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইসমাইল জারেই বলেন, রুশদির একটি চোখ অন্ধ করে এবং হাত অকেজো করে দিয়ে যিনি মুসলিমদেরকে খুশি করেছেন, তার এই সাহসী কাজের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে তাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, রুশদি এখন জীবন্মৃত একজন মানুষের চেয়ে বেশি কিছু না। এই বীরোচিত কাজ যিনি করেছেন তার সম্মানার্থে তাকে কিংবা তার আইনি কোনো প্রতিনিধিকে প্রায় ১ হাজার বর্গমিটার কৃষিজমি দান করা হবে।

১৯৯৮ সালে ইরানের তৎকালীন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি লেখক সালমান রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া ঘোষণা করেন। এছাড়া ইরান রুশদির মাথার দাম ৩০ লাখ ডলার ঘোষণা করেছিল। রুশদির স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসকে মুসলিম ধর্মাবমাননা হিসাবেই দেখা হয়।

গতবছর আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রে নিউ ইয়র্কের শাটাকোয়া ইনস্টিটিউটের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়েছিলেন সালমান রুশদি। বুকারজয়ী এই লেখককে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় এক লোক দৌড়ে স্টেজে উঠে ছুরি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়।

এতে রুশদির ঘাড়ে ও শরীরে জখম হয় বলে তখন নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি ছয়সপ্তাহ চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ঘাড়ে ও পেটে অন্তত একবার করে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। পরবর্তীতে রুশদি একচোখের দৃষ্টিশক্তিও হারান।

রুশদির ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ হাদি মাতার (২৪) নামে এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত হাদি শিয়া মুসলিম আমেরিকান এবং নিউ জার্সির ফেয়ারভিউয়ের বাসিন্দা। হাদি মাতার এসেছেন দক্ষিণ লেবাননের ইয়ারুন শহর থেকে। তিনি একটি পাস কিনে ওই অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ