সন্তানদের ডাকে খোকনের জীবন বাঁচলেও পুড়ে মরেন পরিবারের ৫ সদস্য

নিজ বসতঘরে অগ্নিকাণ্ডে মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া ইউনিয়নের সিএনজি অটোরিকশার চালক খোকন বসাক (৪০)। সন্তানের ডাকে ঘুম থেকে জেগে নিজের জীবন বাঁচাতে পারলেও বাঁচাতে পারেননি সন্তানদের। সেই শোকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বেডে আহাজারি করছেন খোকন বসাক।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে খোকন বসাক সংবাদকর্মীদের বলেন, কিভাবে বাসায় আগুন লেগেছে, ঠিক বলতে পারছি না। তবে, আগুন দেখে সন্তানের ডাকেই আমার ঘুম ভাঙে। মূল দরজার কাছেই আগুন লাগায় বের হওয়ার অন্য উপায় ছিল না। আগুনের মধ্যেই মূল দরজা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের বের হওয়ার পরামর্শ দিয়ে নিজে আগুনে লাফ দিয়ে বের হয়ে আসেন। কিন্তু, তার পিছু পিছু আর বের হতে পারেননি স্ত্রী-সন্তান ও মা-বাবা। তারা সবাই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান।

 

খোকন বসাক বলেন, সন্তানের ডাকে ঘুম থেকে জেগে আগুন থেকে নিজেকে বাঁচতে পেরেছি। কিন্তু, সেই সন্তানদের বাঁচাতে পারিনি।

অটোরিকশা চালিয়ে পরিবারের সবাইকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন খোকন। বৃহস্পতিবার রাতেও সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে রাত ১টার দিকে বাসায় ফেরেন তিনি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুমাতে যান। অটোরিকশাটি ছিল তার বাড়ির দরজার কাছে।

শুক্রবার ভোররাতের দিকে প্রথমে রান্নাঘরে, এর পর দরজার কাছে থাকা সিএনজি অটোরিকশায় আগুন ধরে যায়। এতে বাসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায় আগুনে।

 

উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোররাতে পারুয়া ইউনিয়নে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্যের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন—খোকন বসাকের বাবা কাঙ্গাল বসাক (৭০), মা ললীতা বসাক (৬০), স্ত্রী লাকী বসাক (৩২), ছেলে সৌরভ বসাক (১২) ও মেয়ে শয়ন্তী বসাক (৬)।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ