‘আফ্রিকায় সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে’

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, ‘আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। সেখানে আরও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে।’

রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত ‘আফ্রিকায় নজর: বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস।

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আফ্রিকার ১০টি দেশে আমাদের মিশন আছে। সেখানে আমরা আরও নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আফ্রিকা ভালো বাজার হতে পারে। আফ্রিকার খনিজসম্পদ উত্তোলন ও শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করা যেতে পারে।’

‘আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদের সে সুযোগ নিতে হবে। আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যায়, আফ্রিকায় যায় না। তবে, আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।’

মূল প্রবন্ধে মাশফি বিনতে শামস বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন। আলজেরিয়া ও মিশরে ১৯৭৩ সালে মিশন খোলা হয়। পরে কেনিয়া, সেনেগাল, জিম্বাবুয়ে, লিবিয়া ও মরক্কোয় মিশন খোলা হয়। তবে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই থমকে যায়। এখন সেখানে ১০টি মিশন আছে।’

তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। আফ্রিকায় পাট ও পাটজাত পণ্য এবং ওষুধ রপ্তানির সুযোগ আছে। সে সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দ্বৈত কর প্রত্যাহার করতে হবে।’

বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘আফ্রিকায় ওষুধ রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। পোশাক রপ্তানিরও সুযোগ আছে আমাদের। সেখানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকা অনেক দূরের মহাদেশ নয়।’

তিনি বলেন, ‘সিয়েরা লিওন বাংলা ভাষার বিকাশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ভূমিকা রেখেছে।’

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ