খেরসনে ‘ভয়ংকর হামলা’র ভয়ে আতঙ্ক গোটা ইউক্রেন। চাপা উত্তেজনায় তার পশ্চিমা মিত্ররাও। খেরসন থেকে নাগরিক সরানোর ঘোষণার পর ‘বড় হামলার ভয়’ আরও মাথাচারা দিয়ে উঠেছে। ব্রিটেনের আশঙ্কা শিগগির কৃষ্ণসাগরে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাতে যাচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। কিয়েভ বলছে, ঢাকঢোল পিটিয়ে নাগরিক সরানোর মাধ্যমে খেরসনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চাইছে মস্কো। এই বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অধিকৃত চার অঞ্চলে মার্শাল ল জারি করেছে মস্কো। বিশ্ব গণমাধ্যমের খবর, চলমান ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ ইউক্রেনে শেষ পর্যন্ত ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’র ঘোষণা দিতে পারেন পুতিন। বিবিসি, এএফপি, রয়টার্স।
রাশিয়ার নতুন ভুখণ্ড খেরসন থেকে আগামী ছয় দিনের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার লোক সরিয়ে নিচ্ছে মস্কো। নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ‘যুদ্ধাঞ্চল’ খেরসনকে জনশূন্য করছে রুশ সেনারা। শুক্রবার থেকেই শুরু হয়েছে এ প্রক্রিয়া। তখন ছিল অঘোষিত। এর কয়েক ঘণ্টা পরই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আগে (বুধবার রাতে) দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে সংযুক্ত চার অঞ্চলে মার্শাল ল জারি করেন পুতিন। ‘দখলকৃত অঞ্চলে’ রাশিয়ার পরবর্তী পদক্ষেপ কী-চিন্তায় আতঙ্কি হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। দুশ্চিন্তার ঘাম ছুটছে পশ্চিমাদের কপালেও। শোনা যাচ্ছে, রুশ ফেডারেশনের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সর্বাত্মক যুদ্ধের ঘোষণা দিতে পারেন পুতিন। টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি চার অঞ্চলে সামরিক শাসন জারির একটি নতুন আইনে স্বাক্ষর করেছি।’
সামরিক শাসন জারি করা অঞ্চলগুলো হলো-জাপোরিঝঝিয়া, খেরসন, লুহানস্ক ও দোনেৎস্ক। গত মাসে এসব অঞ্চল নিজেদের বলে ঘোষণা দেয় রাশিয়া। এর জবাবে এসব এলাকায় পালটাহামলা জোরদার করেছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে এমন পদক্ষেপ নিলেন পুতিন। বৃহস্পতিবার থেকে সামরিক আইন কার্যকর হবে। সামরিক আইন জারির ফলে এসব এলাকার জনসাধারণের চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হলো এই আইন কার্যকরের ফলে নতন ভূখণ্ডের জনগণ চাইলেও আর অন্য এলাকায় যেতে পারবেন না। অঞ্চলগুলোর সরকারপ্রধানদের জরুরি কিছু ক্ষমতা দেওয়া হবে বলেও এসময় জানান পুতিন।
এর একদিন আগেই (মঙ্গলবার) ইউক্রেনে বড় সড় হামলার আশঙ্কায় পেন্টাগনে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেন্স। ব্রিটিশ সামরিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বিশ্বকে নিজের পরমাণু সক্ষমতা দেখাতে কৃষ্ণসাগরে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারেন পুতিন।