বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত তোয়াব খান

রাষ্ট্রের সম্মান ও সর্বধারাণের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসাকে পাথেয় করে শেষ বিদায় নিলেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলা সম্পাদক তোয়াব খান। তিন দফায় জানাজা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা, জাতীয় প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সমাজের শ্রদ্ধা শেষে সোমবার বাদ আসর মেয়ে এশা খানের কবরে সমাহিত হন তোয়াব খান।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে তোয়াব খানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার সংবাদকর্মীরা। সেখান থেকে বর্ষীয়ান এই সাংবাদিকের মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা তোয়াব খানকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এসময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় এবং সর্বস্তরের জনগনের পক্ষ থেকে ফুলেল ভালোবাসায় শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের উপস্থিতে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এ সময় সাংবাদিক তোয়াব খানের মরদেহ জাতীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়।

শহীদ মিনারে বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সহকারী সামরিক সচিব জিএম রাজিব আহমেদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তোয়াব খানের হাত ধরে এ দেশের সাংবাদিকতা ভিন্নমাত্রা পায়। সামাজিক শক্তিকে জাগিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে দিক নির্দেশনার ক্ষেত্রে একটি পত্রিকা কীভাবে-কীরূপ ভূমিকা পালন করতে পারে তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বরেণ্য এই সাংবাদিক। তোয়াব খান বাংলাদেশের সাংবাদিকতা পেশাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এছাড়া শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, বঙ্গবন্ধু সংস্কৃতিক জোট, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, সম্প্রীতি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন বরেণ্য সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর প্রবীণ সাংবাদিক তোয়াব খানের মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে। সেখানে তার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তোয়াব খানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন দেশের খ্যাতনামা সাংবাদিক এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলোর নেতা ও রাজনীতিবিদরা।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম তোয়াব খানের কফিনে শ্রদ্ধা জানান। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের পক্ষে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমীন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক কামরুল ইসলাম খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক প্রমুখ।

বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে এই সাংবাদিককে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ