স্ত্রী তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় আব্দুল জলিল (৫০) নামের এক ঘটককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আলমাস (২২) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মানাজি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আলমাসকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটক জলিল উপজেলার দিগড় ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের আহসান আলীর ছেলে। আলমাস একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, চার বছর আগে ডলি আক্তার নামের এক তরুণীর সাথে বিয়ে হয় আলমাসের। বিয়ের ঘটক ছিলেন আব্দুল জলিল। বছর খানেক আগে আলমাসের স্ত্রী তার থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে চলে যান। এরপর স্ত্রীকে ফিরে পেতে জলিলকে চাপ দিতে থাকে আলমাস। এ নিয়ে ঘটক জলিলের ওপর তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জলিল আলমাসদের ঘরে বসে তার দাদির সাথে গল্প করছিলেন। এমন সময় ঘরে প্রবেশ করেন আলমাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই জলিলকে দা দিয়ে কোপাতে থাকেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ জলিলের লাশ উদ্ধার করে।
ঘটনার পর পরই আলমাস বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে পাহাড়ি এলাকার সাতকুয়া গ্রাম থেকে আটক করে।
জলিলের স্ত্রী হামিদা বেগম জানান, স্বামী হত্যার বিচারের দাবিতে তিনি মামলা করবেন।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার ঘটনা সত্য। স্ত্রী তালাক দিয়ে চলে যাওয়ার আক্রোশ থেকে আলমাস এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।