অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দলে নেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে বাদ দিয়েই বুধবার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হয়।
ঘোষণার পর পরই মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়া নিয়ে এ শুরু হয় বিস্তর আলোচনা ও বিতর্ক। বিসিবির নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্ত সঠিক মানতে রাজি নন অনেকে, কেউ আবার বলছেন, টি-টোয়েন্টির মেজাজে খেলতে না পারা মাহমুদউল্লাহকে বাদ দিয়ে ঠিকই করেছে বিসিবি।
তবে পারফরম্যান্স বিচারে নাজমুল হাসান শান্তকে না নিয়ে মাহমুদউল্লাহই যোগ্য ছিল বলে মনে করছেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সে বিচারে মাহমুদউল্লাহকে বাদ দেওয়ার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে একটি উদাহরণ টানলেন টাইগারদের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম।
তিনি বোঝাতে চাইলেন, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে পারফরম্যান্স মুখ্য নয়, ক্রিকেটাররা ম্যাচে কতেটা প্রভাব বিস্তার করতে পারেন সেটাই মূল আলোচ্য।
শ্রীরাম বলেন, পারফরমাররা থাকার পরও যে কোনো দল হেরে যেতে পারে। কিন্তু আমাদের দলে যদি বেশি সংখ্যক প্রভাব বিস্তার করা খেলোয়াড় থাকে, তাহলে আমরা বেশি ম্যাচ জিতব। টি-টোয়েন্টিতে প্রভাব সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় এমনকি পারফরম্যান্সকেও।
বুধবার মিরপুর শেরেবাংলায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণার পর ঢাকায় নিজের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে শ্রীরাম নিজের এমন দর্শনের কথা জানান।
এ সময় মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়ার কারণ জানাতে একটা উদাহরণও দেন এ ভারতীয় কোচ।
শ্রীরাম বলেন, ‘আমি জোর দিচ্ছি ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করে খেলার ওপর। পারফরম্যান্সের ওপর নয়। সাত/আটজন খেলোয়াড় ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করলে বাংলাদেশ জিতবে। আমার কাছে প্রভাব হচ্ছে ১৭/১৮ বলে ২৫ কিংবা ৩০ রান করা। একটি ছোট্ট উদাহরণ দিই। এশিয়া কাপে শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ আউট হওয়ার পর হাসারাঙ্গার ওই ওভারে মোসাদ্দেক যেভাবে ব্যাট করেছে (ওই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ করেছিলেন ২২ বলে ২৭। মোসাদ্দেকের রান নয় বলে ২৪*)। এটাকেই প্রভাব বিস্তার করা বলে।’
এখন পারফরম্যান্সের গুরুত্ব কম জানিয়ে শ্রীরাম বলেন, ‘এখন পারফরম্যান্স খুঁজে লাভ নেই। আমার মতে টি-টোয়েন্টিতে পারফরম্যান্স ওভাররেটেড বিষয়। নিয়মিত পারফর্ম করেও সবসময় ম্যাচ জেতা যায় না। কিন্তু যত বেশি খেলোয়াড় ম্যাচে প্রভাব রাখবে, ম্যাচ জেতার সুযোগ বেড়ে যাবে।’
অর্থাৎ, ম্যাচে ধারাবাহিক রান করা নয়; প্রয়োজনের সময় বোলারের উপর প্রভাব খাটিয়ে ধুমধাড়াক্কা চার-ছয় মেরে সংগ্রহ বাড়িয়ে তোলাকেই বড় হিসেবে দেখছেন শ্রীরাম।