কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওড়ের উজানের পানি মেঘনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে চাঁদপুর হয়ে সমুদ্রে মিলিত হচ্ছে। গত তিন দিনে ভৈরব মেঘনা নদীর পানি ১১৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে বলে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে।
তবে মেঘনার পানি এখন বিপৎসীমার ৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার এলাকায় পানি বেড়ে বন্যাকবলিত হওয়ার পর ওই জেলাগুলোর পানি ভৈরবের মেঘনা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ভৈরবে মেঘনার পানির প্রবল স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে রোববার ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙনের কারণে দুটি রাইস মিল রোববার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙন অব্যাহত থাকায় ভৈরব বাজারের নদীরপাড়ের ব্যবসায়ীদের মধ্য আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে ১৯৮৮ ও ১৯৯৮ সালে ভৈরব রেলওয়ের ৫০ একর জায়গা ও শতাধিক ঘরবাড়ি, অফিস এবং বাজারের ৩০ টি ঘরসহ ১০ একর জায়গা প্রমত্তা মেঘনার স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। মেঘনাপাড় রক্ষায় সরকার বাঁধ দিলেও ভাঙন ঠেকাতে পারছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিশোরগঞ্জের প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান জানান, হাওড়ের পানির বেগে ভৈরবে পানি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদি পানি হাওড়ে কমে তবে এ পানি ভৈরবের মেঘনা নদী দিয়ে প্রবাহিত হবে। ভৈরবের ভাঙন রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভৈরবের নদীর পাড়ের ভাঙন বিষয়ে প্রশাসন সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। রোববার স্থানীয় সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পান নদীর পাড় এলাকার ভাঙ্গন পরিদর্শন করেছেন। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়।
রোববার ভাঙনের সময় দুজন নিখোঁজ হন। তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানান।