টাকার মান আরও ১ টাকা ৬০ পয়সা কমল

মার্কিন ডলারের বিপরীতে আবারও টাকার মান কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময়মূল্য ১ টাকা ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে যা ছিল ৮৯ টাকা ৯০ পয়সা।

বাংলাদেশ ব্যাংক আজ থেকে ৯১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে। সরকারি আমদানি বিল মেটাতে ব্যাংকগুলোর কাছে এ ডলার বিক্রি করা হয়। ফলে, এটাই ডলারের আনুষ্ঠানিক দর।

তবে ব্যাংকগুলো আমদানিকারকদের কাছে প্রতি ডলারের জন্য ৯৫ টাকার বেশি দাম নিচ্ছে। আর প্রবাসী আয় আনছে ৯৩ থেকে ৯৪ টাকা দরে।

সূত্র জানায়, বাজারের ডলারের তীব্র সংকট থাকায় অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সে মুদ্রা বিনিময় হারের সুবিধা দিতে ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে কয়েক দফায় ডলারের দাম বাড়ানো হয়েছে।

শুধু আন্তঃব্যাংক লেনদেনেই ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ডলারের বিপরীতে টাকার দরপতন হয়েছে ৩ শতাংশের বেশি। গত বছরের এপ্রিলে ডলারের বিনিময় হার ছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা। জুনে তা এক পয়সা বাড়লেও আগস্ট থেকে টাকার মান দ্রুত কমতে থাকে।আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দর ৯০ টাকার নিচে থাকলেও মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে খোলা বাজারে ডলারের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েছে।

এদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ডলার বাঁচাতে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রতা সাধনের দিকে কঠোর মনোযোগ দিয়েছে সরকার। অতি জরুরি প্রকল্প ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে অর্থায়নে সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি বিশেষ কারণ ছাড়া কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ আপাতত বন্ধ করা হয়েছে।

করোনার পর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়ায় আমদানি বেড়েছে। একই সঙ্গে আমদানি পণ্যের দামও বেড়েছে। সব মিলে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারি সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ৪৭ শতাংশ, এলসি খোলা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এ ছাড়া করোনার কারণে স্থগিত এলসির দেনা এখন পরিশোধ করতে হচ্ছে।

এর সঙ্গে রয়েছে চলমান বৈদেশিক ঋণের কিস্তির পাশাপাশি করোনার সময়কার স্থগিত কিস্তি। সব মিলে বাজারে ডলারের চাহিদা বেশি। এদিকে আমদানির তুলনায় রপ্তানি না বাড়ায় এবং রেমিট্যান্স কমায় বাজারে ডলারের জোগান কমেছে। এসব কারণে এর দাম বাড়ছে।

এদিকে ডলারের দাম বাড়ার ফলে রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে মুদ্রা বিনিময় হারজনিত সুবিধা পাবে। টাকার অবমূল্যায়নের ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এর প্রভাবে মূল্যস্ফীতির ওপর আরও চাপ বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ