ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধার সময় বৃদ্ধি চান ব্যবসায়ীরা

আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুবিধা চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এই সুবিধা চেয়েছেন বলে সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে এক বিশেষ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘কোভিড পরবর্তী ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। সার্বিক প্রভাবে রপ্তানির কাঁচামালের দাম বাড়ায় খরচও বেড়েছে। অনেকে অর্ডার দিয়ে ডিসকাউন্টের কথা বলছেন। এ জন্য এফবিসিসিআইয়ের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাদের ঋণ পরিশোধের বিশেষ সুবিধাটি চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হোক। যাতে কেউ খেলাপি না হয়।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতে যেন দীর্ঘমেয়াদি ঋণের একটি বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের কাছে আমরা সেই অনুরোধ জানিয়েছি। কারণ ব্যবসার জন্য দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন খুবই জরুরি। দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য আমাদের আলাদা কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। সামনে এলডিসি উত্তরণ। এ জন্য বড় বড় শিল্প-কারখানা করা দরকার। কিন্তু নরমাল ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অনুরোধ করেছি কোনো একটা ব্যাংক থেকে দীর্ঘমেয়াদি পুনরায় অর্থায়ন তহবিল সহায়তা দেওয়ার জন্য।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমরা রেমিট্যান্স প্রণোদনা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছি। একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা দেশের বাইরে থেকে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। তাকে কিছু সু্যোগ-সুবিধা দিলে তিনি উৎসাহিত হবেন, যদিও সিআইপিসহ সব সুবিধা তাকে দেওয়া হচ্ছে। তবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না। এ বিষয়টি সরকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। পরবর্তীতে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এফবিসিসিআইয়ের বিষয়গুলো আমরা বিবেচনা করে দেখব। তবে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’

উল্লেখ্য, সব ঋণের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শোধ করে ঋণ নিয়মিত করার সুবিধা ছিল। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষণা দেয়, ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের কিস্তি জমা না দিলেও কেউ খেলাপির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না। পরে সেই মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। এরপর করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসতে থাকলে ঢালাও সুবিধা ধীরে ধীরে কমানো হয়।কিস্তির কোনো অংশ জমা না দিয়েও খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ ২০২১ সালে কমানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ