‘রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি সহনশীন হয়ে গেছে কয়েকটি দেশ’

রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি কয়েকটি দেশ সহনশীন হয়ে গেছে বলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি দাবি করেছেন। রাশিয়ান অর্থের আবেদন কয়েকটি দেশকে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতি সহনশীল করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছে তিনি।

মস্কোকে সন্তুষ্ট করার জন্য আঞ্চলিক ছাড় গ্রহণের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে বৃহস্পতিবার জেলেনস্কি এ কথা বলেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

লাটভিয়ার পার্লামেন্টে ভিডিও কনফারেন্সে দেওয়া এক বক্তব্যে জেলেনস্কি বলেন, আজ আমরা শুনছি যে কথিতভাবে রাশিয়া যা চায় তা দেওয়া উচিত। হয়তো এ ব্যাপারে সম্মত হওয়া প্রয়োজন যে কিছু মানুষ তাদের বৈদেশিক নীতির কিছু অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে পারে। আমাদের এই নীতির জন্য লড়াই করতে হবে যে জাতিসত্তা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

এর সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার যুদ্ধ শেষ করার জন্য ইউক্রেনের রাশিয়ার কাছে নিজের ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য এমন মন্তব্যের প্ররিপ্রেক্ষিতে জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়ান রাষ্ট্র যাই করুক না কেন, এমন কেউ আছেন যিনি বলেন, ‘আসুন এর স্বার্থ বিবেচনা করা যাক।’ এ বছর আবারও শোনা গেল দাভোসে। হাজার হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনে আঘাত করার পরও। হাজার হাজার মানুষ মারা যাওয়ার পরও। বুচা কিংবা মারিউপোলের পরিস্থিতির পরও। বিভিন্ন শহর ধ্বংস হওয়ার পরও।

জেলেনস্কি আরও বলেন, রাশিয়া ইউরোপে এই সব করেছে। কিন্তু তারপরও, দাভোসে, গভীর অতীত থেকে উঠে এসে কিসিঞ্জার বলেছেন, ইউক্রেনের কিছু ভূখণ্ড রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া উচিত।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক সম্মেলনে কিসিঞ্জার আরও বলেছিলেন, ইউক্রেনের অধিকাংশ মানুষই চার মাসে প্রবেশ করা এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে।

এ সময় কিসিঞ্জার ইউক্রেনে রাশিয়ার জন্য বিব্রতকর পরাজয় না চাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, এতে ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার অবনতি ঘটাতে পারে।

তিনি আরও বলেছিলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর ইউরোপের প্রতি রাশিয়ার গুরুত্বের কথা মনে রাখা উচিত এবং ‘মুহুর্তের মোহে’ ভেসে যাওয়া উচিত নয়। এ সময় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ‘পূর্বতন স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস ক্যু)’ আগের অবস্থায় ফিরে যেতে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেনকে চাপ দিতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন কিসিঞ্জার।

জেলেনস্কি কিসিঞ্জারের মতামতকে ১৯৩৮ সালে নাৎসি জার্মানির মনোভাবের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ