বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ হাজারের বেশি দলীয় সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত, আবার অনেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। বহুমুখী অপপ্রচারের মাঝেও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল না। তবে বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে এগুলো ছিল অপরিহার্য। শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়। বরং সেটিই আমাদের শক্তি।
আজ বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখন আমাদের অন্যতম দায়িত্ব হলো দেশের প্রত্যেক ভোটারের আস্থা নিশ্চিত করা। সেই লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বিএনপি ছুটে যাচ্ছে সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাছে। গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও মজবুত করছে। এই সমন্বিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা নিশ্চিত করতে চাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ; তারা ফাঁকা বুলি চায় না। জনগণ চায় স্থিতিশীলতা; তারা বিশৃঙ্খলা চায় না। আর বিশ্ব চায়, বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই প্রত্যাশাগুলো পূরণে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সহকর্মী ও নেতাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। আমি যেমন আপনাদের প্রত্যেকের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলে গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল। আমরা একসঙ্গে প্রমাণ করব– বাংলাদেশে একটি জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা, স্থিতিশীল প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং গণআকাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব।
তারেক রহমান বলেন, সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক। আমরা ক্ষমতাসীনদের কাছে যেসব মানদণ্ড দাবি করি, নিজেদেরও ঠিক একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই। এইভাবে আমরা জনগণের আস্থা পুনর্গঠন করতে চাই। বিশেষত তরুণদের, যারা রাজনীতিকে কেবল ক্ষমতার খেলা হিসেবে দেখতে চায় না বরং দেখতে চায় সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে। সময়ের চাহিদা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিএনপি সব সময় নিজেকে আধুনিকায়ন করেছে।
বিএনপির পরিচয় সেবা, ন্যায়বিচারের প্রতীক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা জনগণের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ ও যোগাযোগ আরও শক্তিশালী করছি। ৩১ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আমাদের নীতিমালা গড়ে উঠেছে। আমরা অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আরও বেশি নারী, তরুণ নেতা ও পেশাজীবীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চাই। এর মাধ্যমে জাতি আরও এগিয়ে যাবে এবং রাজনীতি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকবে। আমরা চাই, বিএনপির পরিচয় হোক সেবা, ন্যায়বিচার ও দক্ষতার প্রতীক হিসেবে; বিভাজন কিংবা সুবিধাভোগের প্রতীক নয়।