৩ হাফসেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা

সিরিজ হার এড়াতে জয়ের বিকল্প নেই – এমন সমীকরণে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমেই টসে হার মুমিনুল হকের।

এরপর বল হাতেও দুর্দান্ত প্রতাপ দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ।

টানা চারটি অর্ধশত রানের জুটিতে ৫ উইকেট হারিয়ে পৌনে তিনশ’র বেশি রানের লিড পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

প্রথম দিনেই হাফসেঞ্চুরি এসেছে ৩টি। তৃতীয় ব‍্যাটসম‍্যান হিসেবে পঞ্চাশ স্পর্শ করের টেম্বা বাভুমা।

স্পিনসহায়ক উইকেটে দলের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠলেন তাইজুল। পাঁচ উইকেটের মধ্যে তিনটিই তার দখলে। দুটি পেয়েছেন পেসার খালেদ।

পোর্ট এলিজাবেথে ব্যাট হাতে নেমে অবশ্য শুরুতেই সাফল্য পেত বাংলাদেশ। মাত্র ৪ রানে ফিরে যেতে পারতেন ওপেনার এরউই।

ইনিংসের তৃতীয় ওভারে খালেদের পেসে পরাস্ত হলে বল এরউইয়ের প্যাডে লাগে। এলবিডব্লিউর জোরালো আবেদন করেন খালেদ। কিন্তু আম্পায়ার সাড়া দেননি।

এ সময় রিভিউ নেওয়ার জন্য অধিনায়কের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন খালেদ। কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই সময় শেষ করে ফেলেন মুমিনুল।

এরপরই রিপ্লেতে দেখা গেছে – ব‍্যাটে বলের স্পর্শ ছিল না, আঘাত হানতো লেগ স্টাম্পের উপরের দিকে।

হাতছাড়া হয়ে যায় শুরুতেই উইকেট পাওয়ার সুযোগ। আক্ষেপ দিয়ে দিন শুরু হয় বাংলাদেশের।

সেই ভুলে এলগারের সঙ্গে ৫২ রানে জুটি গড়েন এরউই। সেই খালেদের বলেই ২৪ রানে আউট হয়ে ফেরেন এরউই।

কিন্তু দারুণ খেলে যান অধিনায়ক এলগার। প্রথম সেশন পার করে দেন কোনো বিপদ ছাড়াই। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর তাইজুল ইসলামের হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হয় বাংলাদেশের।

দ্বিতীয় সেশনে পঞ্চাশ ছোঁয়া দুই ব‍্যাটসম‍্যানকে বিদায় করে দেন তাইজুল। ডিন এলগারকে কট বিহাইন্ড করার পর এলবিডব্লিউ করেন কিগান পিটারসেনকে। ৩২তম ওভারে আউট হওয়ার আগে এলগার করেন ৮৯ বলে ১০ চারে ৭০ রান। পিটারসেনের সঙ্গে ভাঙে তার ১২৫ বল স্থায়ী ৮১ রানের জুটি।

পিটারসেন করেন ১২৪ বলে ৯ চারে ৬৪ রান। টেম্বা বাভুমার সঙ্গে পিটারসেন করেন ১০৬ বলে ৫১ রানের জুটি।

এরপর রায়ান রিকেলটনেকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান টেম্বা বাভুমা।

এর মাঝে দিয়ে বৃষ্টির জন‍্য ২৪ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।

চতুর্থ উইকেটে রায়া্ন রিকেলটনের সঙ্গে ১৮৬ বল স্থায়ী ৮৩ রানের জুটি গড়েন বাভুমা। এ জুটি ভাঙার নায়কও তাইজুল।

বাঁহাতি স্পিনারের  বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন রায়ান রিকেলটন। বল তার প্রত‍্যাশার চেয়ে বেশি লাফিয়ে ওঠে গ্লাভসে লাগে। প্রথম স্লিপে ইয়াসির আলি চৌধুর ক‍্যাচ নেওয়ার পর জোরাল আবেদন করে বাংলাদেশ।

আম্পায়ার মারায়াস এরাসমাস সাড়া না দিলে রিভিউ নেন মুমিনুল হক। এবার সফল হন মুমিনুল।

রিকেলটন ৮২ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৪২ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন।

ক্রিজে টেম্বা বাভুমার সঙ্গী হন কাইল ভেরেইনা।

৮৪তম ওভারে সার খালেদের হাতে নতুন বল তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল।

আর শুরুতেই সাফল্য।  খালেদের  বলে স্লিপে চমৎকার এক ক‍্যাচে টেম্বা বাভুমাকে বিদায় করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বাভুমার ব‍্যাটের কানায় লেগে ক‍্যাচ উঠলে তা ছিল কিপার লিটন দাসের নাগালের বাইরে।  তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েও ব্যর্থ হন। তবে বলে চোখ রেখে দুই হাতে দারুণ ক‍্যাচ নেন শান্ত।

১৬২ বলে ৭ চারে ৬৭ রান করেন বাভুমা।

দিন শেষে এটাই ছিল বাংলাদেশের সর্বশেষ সাফল্য।

৯০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান জমা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামীকাল ব্যাট হাতে নামবেন ভেরেইনা ও মাল্ডার। ভেরাইন ১০ রানে অপরাজিত।  মাল্ডার রানের খাতা খুলতে পারেননি আজ।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ