ডেস্ক রিপোর্ট: প্রবাস জীবনে বাংলাদেশীদের নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। বিশেষ করে আইনগত সমস্যা তাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। এছাড়া ভাষা শিক্ষা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির প্রয়োজন তো রয়েছেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করে থাকেন-অস্বীকার করার জো নেই। তবে তাদের মধ্যে অন্যতম নোমান চৌধুরী। ফেসবুক অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন এই নোমান চৌধুরী। নাগরিকত্ব, স্টে পারমিট, ড্রাইভিং লাইসেন্স কিংবা ভাষা শিক্ষা-সব বিষয়ে তিনি কথা বলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এভাবেই হাজারো প্রবাসীর প্রিয়মুখ হয়ে উঠেছেন তিনি। ভাষা শিক্ষার জন্য তিনি বাংলা ইনস্টিটিউট অফ ইতালি নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট। প্রবাস জীবনে কিছুটা সাফল্য পেলে মানুষ অহংকারী হয়ে ওঠে। কিন্তু নোমান চৌধুরি যেন তাদের ব্যতিক্রম।
এত মানুষের যিনি পরিচিত মুখ, তার কণ্ঠের সাথে চেনাজানা অনেকেরই। সেই মানুষটির মধ্যেও দুঃখবোধ রয়েছে। অনেক কষ্টে তিনি তার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্বদেশ-বিদেশ পত্রিকার পাঠকদের জন্য আমরা তা হুবুহু তুলে ধরলাম:
“”দুর্ভাগ্য নাকি সৌভাগ্য?
ইদানিং কেউ আমার খবর নেয়না, আপনজনেরাও না। অপরিচিত জনের অগণিত কল পাই প্রতিদিন, সবাই প্রয়োজনে কল করে, আমিও সবার প্রয়োজনীয়তা মেটানোর চেষ্টা করি, যতই অপরিচিত হউক। একটা সময় ছিল প্রতিদিনই কাছের মানুষদের কেউ না কেউ কল করতো, খবর নিতো, মন খোলে কথা বলতাম। এখন আর কেউ কল করেনা। আপনজন, বন্ধুরা কে কেমন আছে আমিই কল করে খবর নেয়ার চেষ্টা করি, যখন আফসোস প্রকাশ করি আমার খবর কেউ নেয়না তখন সবার একই উত্তর “প্রতিদিনই সবাই আমাকে দেখে, আমি কি করছি, ভালো আছি, ব্যস্ত আছি” তাই কেউ আমার খবর নেয়ার প্রয়োজন বোধ করেনা। কিন্তু আমারও যে আগের মতোই মন খোলে কথা বলতে ইচ্ছে করে সেটা কেউ বোঝেনা। ডিজিটাল প্লাটফর্মে পরিচিতিটা আমার দুর্ভাগ্য নাকি সৌভাগ্য? ভাবছি……””