ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের সোমবার মধ্যরাত ও মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ বলছে, পুলিশের ওপর হামলা ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি এবং হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফারুকজ্জামান বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে হবে। পুলিশের ওপর হামলা ও সম্পদের ক্ষতি এবং হত্যা মামলা হবে।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সংঘর্ষ চলাকালে নিউ মার্কেট এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সে হামলার ঘটনায় মামলা করা হবে। সোমবার রাতে প্রথম দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পরে মঙ্গলবার কয়েক দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় নাহিদ হোসেন (২০) নামে এক পথচারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এছাড়া এ ঘটনায় ১২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এদিকে এ সংঘর্ষের কারণে মঙ্গলবার সায়েন্স ল্যাব থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। একে করে ওইদিন রাজধানীজুড়েই তীব্র যানজট ছিল। দফায় দফায় সংঘর্ষের পর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার পর শিক্ষার্থী, দোকানমালিক ও কর্মচারীরা সড়ক থেকে সরে যান। পরে নীলক্ষেত-নিউ মার্কেট এলাকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। আজ সেখানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও নিউ মার্কেটে কোনো দোকানপাট খুলতে দেখা যায়নি।
জানা গেছে, সোমবার ইফতারের সময় টেবিল বসানো নিয়ে নিউ মার্কেটের দুটি খাবারের দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে ঝামেলা হয়। এর জেরে ওয়েলকাম ফাস্ট ফুডের কর্মচারী বাপ্পীকে ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুডের কাওসার মারধর করেন। প্রতিশোধ নিতে বাপ্পী ঢাকা কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে কাওসারের ওপর হামলা করেন। পরে কাওসারের লোকজন শিক্ষার্থীদের মারধর করে বের করে দেন। এ নিয়েই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।