রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেঁচে ছিলেন ৯৬ বছর। তার এই সুদীর্ঘ জীবনে তোলা বেশ কয়েকটি ছবিতেই ছোট পা ওয়ালা একটি কুকুরকে বসে থাকতে দেখা গেছে। চারটি কুকুর ছিল রানির অধিকাংশ সময়ের ‘বন্ধু’।
রানির মৃত্যুর তার পোষা কুকুরগুলোকে নেওয়া হবে নতুন ঠিকানায়। তার ছিল ‘মুইক’ ও ‘স্যান্ডি’ নামে দুটি পেমব্রোক ওয়েলশ করগি, অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের করগির শংকর ‘ক্যান্ডি’ আর রেশমি লোমবিশিষ্ট বড় কানের আদরের কুকুর ‘লিসি’।
রাজপরিবারের বায়োগ্রাফার ও ম্যাজেস্টি ম্যাগাজিনের সম্পাদক জো লিটলের ধারণা, কুকুরগুলোকে প্রিন্সেস অ্যান ও প্রিন্স অ্যান্ড্র–র কাছে দত্তক দেওয়ার আগ পর্যন্ত প্রাসাদকর্মীদের তত্ত্বাবধানে রাখা হবে।
তিনি এ বিষয়ে বলেন, আগে প্রিন্সেস অ্যানের নিজের করগি কুকুর ছিল। ডিউক অফ ইয়র্ক এবং তার মেয়েদের কাছ থেকেই নতুন দুটি করগি কুকুর এসেছিল। ধারণা করা হচ্ছে, রানির কুকুরগুলোকে আলাদা করা হবে না।
এলিজাবেথের কুকুর প্রেম আজকের নয়। শৈশবে বাবা ষষ্ঠ জর্জের কুকুর ‘ডুকি’কে নিয়ে ছিল তার মাতামাতি। ১৯৪৪ সালে অষ্টাদশ জন্মদিনে তিনি উপহার পান পেমব্রোক ওয়েলশ কর্গি কুকুরছানা, সেটির নাম দেওয়া হয় সুসান।
এই কুকুরটির প্রতি রানির এমনই মায়া ছিল যে ১৯৪৭ সালে মধুচন্দ্রিমাতেও যাওয়ার সময়ও সুসানকে ছাড়েননি তিনি। রানির পোষা এই প্রাণিটির মৃত্যু হয় ১৯৫৯ সালে।