রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরার পর হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের নিষিদ্ধ করার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে স্ত্রী রাহাত আরাকে নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন মির্জা ফখরুল।

জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি, এটার (কর্মসূচি) কোনো প্রয়োজন ছিল না। আলোচনা তো শেষ হয়নি এখনো। আলোচনা চলছে, আলোচনা চলা অবস্থায় এই ধরনের কর্মসূচির অর্থই হচ্ছে, এই যে একটা অহেতুক একটা চাপ সৃষ্টি করা। যেটা আমি মনে করি যে, গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেও শুভ নয়।

আলোচনার টেবিলে সমাধান হচ্ছে না বলেই জামায়াত রাজপথে নেমেছে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের বক্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এভাবে রাজপথে আসলেই সমাধান হয়ে যাবে। আমার পাল্টা প্রশ্ন রাজপথে আসলেই কী সমাধান হয়ে যাবে? আমরা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এই পরিবর্তনের পরে আমরা কিন্তু কোনো ইস্যুতে রাজপথে আসিনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই সমস্ত কিছু সমাধান করতে চাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, এটা আলোচনা মাধ্যমে শেষ হবে।

পিআর সম্পর্কে দলের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবারই বলেছি, পিআর এর ব্যাপারে আমাদের অবস্থান খুব পরিষ্কার। আমরা পিআরের পক্ষে নই। আমরা মনে করি যে, বাংলাদেশের পিআরের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। আর জুলাই সনদের আলোচনা চলছে। অনেকগুলো ইস্যুতে আমরা একমত হয়েছি, সেই বিষয়গুলো নিয়ে সামনে আসলেই হয়।

তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কারভাবে আমি বলতে চাই, এখানে যেটাই করা হোক সেটাতে জনগণের সমর্থনটা হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। জনগণের সমর্থন আসে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। কারণ, সংসদই একমাত্র অধিকার রাখে সে সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে, সংবিধান সংশোধন করতে পারবে, সেখানেই সম্ভব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ইনশাল্লাহ তারেক রহমান খুব শিগগিরিই ফিরবেন। জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা এখনো নিজেই জানি না যে, সেখানে আমাদের ভূমিকাটা কী হবে? কারণ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এই ব্যাপারে আমার কোনো কথা হয়নি। কথা হলে আজকে হয়ত জানতে পারব। আমরা মনে হয় যে, দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের বিষয়টি সেখানে প্রাধান্য পাবে এবং একই সঙ্গে দেশের উন্নয়নের ব্যাপারটা প্রাধান্য পাবে- এটা আর কি?

দেশের সিদ্ধান্ত প্রায়শই বাইরে হয় দেখছি এরকম প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি মনে করি না। আমাদের সিদ্ধান্ত আমাদেরকে সমন্বিত প্রচেষ্টায় ঐক্যবদ্ধভাবে নিতে হবে। আমরা সবসময়ই আমাদের বাংলাদেশের যে সিদ্ধান্তগুলো সেগুলো আগেও আমরা দেশে নিয়েছি, এখন আমরা নিজেরা নিজেরাই নেব, এদেশের মানুষেরাই নিয়েছে। আমি মনে করি, বাইরের সিদ্ধান্তের কোনো প্রয়োজন নাই।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ