রনির ঝড়ে জয়ে প্রত্যাবর্তন রাঙালো রংপুর

১৯ বলে ৫০ রান। ৩১ বলে ৬৭। রনি তালুকদারের এই ঝড়েই এলোমেলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টি-টোয়েন্টিতে যে মারমার-কাটকাট ব্যাটিংয়ের কথা বলা হয়, রনির ব্যাটিংয়ে সেই প্রতিচ্ছবি।

১১ চার ও ১ ছক্কার তার বিস্ফোরক ইনিংসে রংপুর রাইডার্সের রান ১৭৬। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স থেমে যায় ১৪২ রানে। ৩৪ রানের দারুণ জয়ে দুই আসর পর বিপিএলে নিজেদের প্রত্যাবর্তন রাঙালো রংপুর। হার দিয়ে বিপিএল শুরু হলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ পাওয়া রংপুরের জন্য ছিল হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে বোলারদের তুলোধুনো করেন রনি। প্রথম বল থেকেই আগ্রাসী ছিলেন এ ব্যাটসম্যান। মোহাম্মদ নবীকে সুইপে চার মারার পরের বল কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান। পরের ওভারে ফজল হক ফারুকিকে পুল করে চার বানান।

নবীর করা চতুর্থ ওভারে দুই চার, এক ছক্কা ও ডাবলে ১৬ রান আদায় করে নেন চোখের পলকে। মোস্তাফিজ শুরুতে এসে তাকে ভোগালেও বাঁহাতি পেসারকে মাথার উপর দিয়ে যেভাবে চার হাঁকিয়েছেন তাতে মুগ্ধতা ছড়ায়।

ষষ্ঠ ওভারে অভিষিক্ত পেসার আশিকুর জামানের উপর চড়াও হয়ে ফিফটিতে পৌঁছান। প্রথম চার বলে চারটি বাউন্ডারিতে ফিফটি ছুঁয়ে ফেলেন মাত্র ১৯ বলে। বিপিএলে যা স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম। তবে স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টিতে শুভাগত হোম ১৬ বলে ফিফটি পেয়েছিলেন ২০১৭ সালে ঢাকা লিগ টি-টোয়েন্টিতে।

রনি যতটা আগ্রাসী ছিলেন তার সঙ্গী নাঈম ঠিক উল্টো। রান তুলতে রীতিমত ভুগছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুজনের উদ্বোধনী জুটির ৮৪ রানের ৬৭ করেন রনি। ১৫ আসে নাঈমের ব্যাট থেকে।

ফিফটি ছোঁয়ার পরও রনির ব্যাট এগিয়ে যায়। ৩১ বলে ৬৭ রানে তাকে থামান খুশদিল শাহ। বাঁহাতি স্পিনারকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়াতে গিয়ে স্টাম্পড হন। এরপর রংপুরের ইনিংস টেনেছেন শোয়েব মালিক। সোহানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়ার আগে ২৬ বলে ৩৩ রান করেন। নাঈমের মন্থর ইনিংস শেষ হয় ৩৪ বলে ২৯ রানে। শেষ দিকে সোহানের ১১ বলে ১৯ রানের ব্যাটিংয়ে রংপুর ভালো পুঁজি পায়।

কুমিল্লার বোলিং তেমন ভালো হয়নি। রান খরচের দিনে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ফজল হক ফারুকি, মোস্তাফিজ, খুশদীল শাহ ও মোসাদ্দেক।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ব্যাটিংটাও ভালো হয়নি তাদের। লিটন দাশ ১০ রানে থেমেছেন স্পিনার রাকিবুলের বলে। ইংলিশ ওপেনার ডেভিড মালান পয়েন্টে ক্যাচ দেন ১৭ রানে। ইমরুল কায়েস তিনে নেমে দলের দাবি মেটাতে পারেননি। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৫ রান করে আউট হন।

এরপর কুমিল্লার ইনিংস কেউ টানতে পারেননি। শেষ দিকে জাকের আলীর ১৩ বলে ১৯ রানের ইনিংসে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় কুমিল্লা।

ভালো ব্যাটিংয়ের দিনে বল হাতেও জ্বলে উঠেছে রংপুরের বোলাররা। ২০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে তাদের সেরা হাসান মাহমুদ। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন রবিউল হক ও সিকান্দার রাজা।

প্রত্যাশিতভাবেই ব্যাট হাতে ঝড় তোলা রনির হাতে গেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

নিউজটি শেয়ার করতে নিচের বাটনগুলোতে চাপ দিন

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn
Print

এ বিভাগের আরো খবর

ফেসবুক পেজে লাইক দিন

বিভাগীয় সংবাদ