শুরুতেই মাহমুদুল হাসান জয়কে হারায় বাংলাদেশ। কোনো রান না করেই ডুয়ান অলিভিয়েরের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন জয়। তবে তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। তামিম খেলছিলেন ওয়ানডে স্টাইলে। কিন্তু হাফসেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দূরে থাকতে উইয়ান মুল্ডার শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। ৫৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে ছিল ৮ বাউন্ডারির মার। দলীয় ৮২ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় বাংলাদেশের। ৩ রানের ব্যবধানে শান্তকেও (৩৩) ফেরান মুল্ডার। ১০০/৩ নিয়ে তৃতীয় সেশনের পানি পানের বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
মুমিনুল ৬ ও মুশফিকুর রহীম ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
বিরতি থেকে ফিরেই আউট হন অধিনায়ক মুুমিনুল। দলীয় ১০০ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মুমিনুলের উইকেটও নেন মুল্ডার। দলীয় ১২২ রানে অলিভিয়েরের বলে বোল্ড হন লিটন দাস (১১)।
তাইজুলের ৬ উইকেট, ৪৫৩ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম একাই নিলেন ৬ উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা অলআউট হয়েছে ৪৫৩ রানে। এছাড়া খালেদ আহমেদ ৩টি এবং মেহেদী মিরাজ নিয়েছেন এক উইকেট। শেষ ব্যাটার লিজাড উইলিয়ামসকে (১৩) ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ইতি টানেন মিরাজ। এর আগে সিমন হারমারকে (২৯) নিজের ষষ্ঠ শিকারে পরিণত করেন তাইজুল। টেস্ট ক্যারিয়ারে তাইজুলের উইকেট দাঁড়ালো ১৫০টি।
মহারাজকে সেঞ্চুরি করতে দিলেন না তাইজুল
সেঞ্চুরির পথে থাকা কেশব মহারাজকে বোল্ড করে ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তাইজুল ইসলাম। ৯৫ বলে ৮৪ রান করে আউট হন মহারাজ। ৯ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। ৪১৮ রানে অষ্টম উইকেটের পতন হন দক্ষিণ আফ্রিকার।
মাল্ডারকে ফেরালেন তাইজুল
সপ্তম উইকেটে জুটি গড়ে বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছেন কেশব মহারাজ-উইয়ান মাল্ডার। ১০০ বলে ৮০ রান যোগ করেন তারা। অবশেষে দলীয় ৩৮০ রানে এ জুটি ভাঙলেন তাইজুল ইসলাম। ৩৩ রান করা মুল্ডারকে বোল্ড করে চতুর্থ উইকেটের দেখা পান তাইজুল। ৩৮৪/৭ সংগ্রহ নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মহারাজ ৫৫ এবং সিমন হারমার ৩ রানে অপরাজিত আছেন।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সাফল্য খালেদের
সিরিজ নির্ধারণী টেস্টের প্রথম দিনে সারেল এরউইয়ের উইকেট নিয়ে শুভ সূচনা করেছিলেন খালেদ আহমেদ। পোর্ট এলিজাবেথে দ্বিতীয় দিনেরও প্রথম সাফল্য এই পেসারের। দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন কাইল ভেরাইনাকে।